সিরিয়া সীমান্তে কৌশলগত এলাকার দখলে ইরাকি বিদ্রোহীরা

স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি সেনাদের অভিযানের মধ্যেও গতকাল শনিবার সিরিয়াসীমান্তে একটি নিরাপত্তা চৌকির দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। এদিকে বাগদাদের নতুনকরে শিয়া নেতা মুকতাদা সদরের মেহেদি আর্মির স্বসস্ত্র মহড়া দেশটিতেসাম্প্রদায়িক সংঘাত ও গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।আইএসআইএলের নেতৃত্বে সুন্নি বিদ্রোহীরা শুক্রবারই নিরাপত্তাকর্মীদেরহটিয়ে সিরিয়া সীমান্তবর্তী আল-কেইম শহরের দখল নেয়। সেখানে একটি সীমান্তচৌকি থেকে ইরাকে সেনাদের হটিয়ে তারও দখল নেয় তারা।তবে সদ্য গঠিত ‘অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়ার্ডের’ মুখপাত্র সামির আল-শাওয়ালি সীমান্ত চৌকির নিয়ন্ত্রণ হারানোর কথা অস্বীকার করেছেন।আল-কেইম এবং এর বিপরীত দিকে সিরিয়ান অঞ্চল আল বুকামেল গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।আল বুকামেল অঞ্চলটি আল কায়েদার সিরিয়া শাখা আল নুসরা ফ্রন্টের দখলেরয়েছে। সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে আইএসআইএল ও আল নুসরা ফ্রন্টের মধ্যেঅন্তর্দ্বন্দ্ব হয়েছে। তবে সম্প্রতি দু পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলেওশোনা যাচ্ছে।সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এর মুখপাত্র রামিআব্দুলরহমান বলেন, আইএসআইএল পূর্ব সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে নুসরাফ্রন্টকে হটিয়ে দিয়েছে। এখন আল-কেইম এলাকার দখল নিতে পারলে সিরিয়ার আরোঅভ্যন্তরে ঢুকতে পারবে তারা।ইরাকে আল কয়েদা সংশ্লিষ্ট আইএসআইএল ইতোমধ্যেই ইরাকের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ওমধ্য অঞ্চলের বিশাল এলাকার দখল নিয়েছে। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসুল শহর, ফালুজা, বাইজি অঞ্চল দখল করে আছে তারাশিয়াদেরমহড়া।এদিকে ইরাকের ক্ষমতা দখলের লড়াইধীরে ধীরে গোষ্ঠীগত সংঘাতে রূপ নিতে যাচ্ছে। স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিরাইতোমধ্যেই তাদের এলাকা উত্তরপূর্বাঞ্চলে কিরকুক পর্যন্ত সম্প্রসারিত করেছে।কিরকুককে দীর্ঘদিন ধরে কুর্দিস্তানের অংশ বলে দাবি করে আসছিলো তারা।সুন্নিদেরদখল থেকে উত্তরাঞ্চল উদ্ধারে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক দলে যোগ দিতে শনিবারবাগদাদে মহড়া দিয়েছে শিয়া মিলিশিয়ারা। বাগদাদের শিয়া বসতি সদর সিটিতে হাজারহাজার যোদ্ধা সেনা পোশাক পরে শহরের রাস্তায় মহড়া দেয়; যারা মুক্তাদা সদরের ‘মেহেদি আর্মি’ সদস্য বলে পরিচিত।প্রেসিডেন্ট সাদ্দামকে উৎখাত করতেআসা যুক্তরাষ্ট্রসহ বহুজাতিক বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বসস্ত্র লড়াইয়ে নেমেপ্রথম আলোচনায় আসে মেহেদি আর্মি।স্বেচ্ছাসেবকরা রকেট চালিত গ্রেনেড, সেমি অটোমেটিক রাইফেল এবং দূর পাল্লার রকেট নিয়ে মহড়া দিয়েছে।শিয়া নেতা হলেও প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির অন্যতম সমালোচক মুকতাদা আল-সদর এখন পর্যন্ত চলমান দ্বন্দ্বে যোগ দেয়নি।মহড়াচলাকালে এক ঘোষণায় বলা হয়, তাদের বাহিনী শান্তির বার্তা দিচ্ছে। তারাশান্তির বাহক। ইরাক ও এর জনগণের জন্য তারা নিজেদের রক্ত এমনকি আত্মদানকরতেও প্রস্তুত।