সিম জালিয়াতি : দোষ না করেও কপাল পুড়লো ঝিনাইদহের কৃষকের

ঝিনাইদহে মোবাইল সিম জালিয়াতি করে পুলিশ সুপারের চাচাসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবি
প্রতিনিধি ঝিনাইদহ: মোবাইলফোনে এক নারীকে উত্ত্যক্ত ও চাঁদা দাবির ঘটনায় হাফিজুর রহমান (২৪) নামে এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাজরা গ্রাম থেকে হরিণাকু-ুর থানা পুলিশ তাকে আটক করে। হাফিজুর রহমান চুয়াডাঙ্গার কুতুবপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। পিতার মৃত্যুর পর তিনি সদর উপজেলার হাজরা গ্রামের নানা বাড়ি বসবাস করতেন।
হরিণাকু-ু থানার এসআই আব্দুল আওয়াল জানান, হরিণাকু-ুর বাগআঁচড়া গ্রামের আব্দুল হালিমের স্ত্রী রিমা খাতুনকে ০১৮৫৮-৭০৪৮৩৭ নাম্বার থেকে গালিগালাজ ও চাঁদা দাবি করা হতো। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে রবি কোম্পানির এই সিমটি হাফিজুর রহমানের ভোটার আইডি ও ছবি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন। এ জন্য পুলিশ রিমা খাতুনের জিডির ভিত্তিত্বে তাকে আটক করে। এসআই আব্দুল আওয়াল আরও জানান, আটক হাফিজুর রহমান পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জ (দশমাইল) বাজারে জনৈক তৈয়ব আলীর ছেলে আব্দুল মান্নানের দোকান থেকে তিনি ছবি ও ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে ০১৮৬৩-৭৭৮১১৪ নাম্বারের রবি সিম উত্তোলন করেন। যে সিম দিয়ে মহিলাকে উত্ত্যক্ত বা চাঁদাদাবি করা হচ্ছে সেটি তার নয়। তার কাছে হুমকি দেয়া সিমটিও পাওয়া যায়নি। পুলিশেরও ধারণা দোকান থেকে সিম তোলার সময় হয়তো জালিয়াতি হতে পারে। তারপরও আইনত হাফিজুর রহমানই এ জন্য দায়ী বলে যুক্তি দেখান এসআই আব্দুল আওয়াল।
কথা হলে বদরগঞ্জ বাজারের দোকানদার আব্দুল মান্নান বলেন, আমি কোনো মোবাইলের সিম বিক্রি করি না। কেও কিনতে চাইলে পাশের দোকানদার মামুন ও পল্টুর কাছে থেকে নিয়ে দিই। সেখান থেকে সিম কিনতে পারে বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে মা চম্পা খাতুন ও মামা স্কুল শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান জানান, হাফিজুর পুরাতর কাপড় বিক্রি ও মাঠে কামলা খেটে জীবিকা নির্বাহ করে। তার পক্ষে অভিযোগকারী নারীকে হুমকি দেয়া বা চাঁদা দাবির প্রশ্নই ওঠে না। তার ভোটার আইডি ও ছবি ব্যবহার করে কেউ সিম জালিয়াতি করতে পারে বলে তাদের আশংকা। তাছাড়া হাফিজুর রহমানকে শাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তার কাছে কোন সিম ছিলো না বলেও মা চম্পা খাতুন জানান। এ বিষয়ে হরিণাকু-ুর ওসি কেএম শওকত হোসেন জানান, আমি দরকারী কাজে ঝিনাইদহে আসছি। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত নয়।