সিঙ্গাপুর থেকে দেয়া পৌনে ৪ লাখ টাকার সোনার গয়না আত্মসাতের চেষ্টা : প্রবাস ফেরত চুয়াডাঙ্গার মামুনের নানা টালবাহানা নস্যাৎ করলো পুলিশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: পৌনে ৪ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কারের লোভ সমালাতে না পেরে সিঙ্গাপুর প্রবাস ফেরত চুয়াডাঙ্গা পদ্মবিলার পিরোজখালীর মামুন ব্যর্থ হয়েছে। গত ৩১ জানুয়ারি সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার সময় তার কাছে অপর প্রবাসী বাগেরহাটের রুবেল সোনার ৯টি চেন ও একটি ব্যাসলেট দিয়ে বলেন, ঢাকা শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই ভাতিজা থাকবে, ওর কাছে এগুলো দিলেই হবে। মামুন ওই সোনার গয়নাগুলো নিয়ে দেশে ফিরেই আত্মসাতের পরিকল্পনা করে। প্লাটফর্মে নেমে আড়াল হয়ে সে সিঙ্গাপুরে রুবেলের নিকট ফোনে বলে, আপনার ভাতিজার কাছে সব দিয়ে দিয়েছি। এরপর সে সেলফোন বন্ধ করে দেয়। সোনার গয়না না পেয়ে রুবেল ও তার লোকজন এয়ারপোর্ট থানায় নালিশ করে। অবশেষে ঢাকার সিআইডি দল ও চুয়াডাঙ্গার গোয়েন্দা পুলিশের পদক্ষেপে গতপরশু রাতে তা উদ্ধারে নামে। প্রবাস ফেরত মামুন শুরু করে নানা টালবাহানা। তা নস্যাত করে পুলিশই সফল হয়।  capture

সোনার গয়নাগুলোর মধ্যে ৫টি চেন উদ্ধার হয়েছে এক ইউপি মেম্বারের নিকট থেকে। বাকিগুলো সিঙ্গাপুর প্রবাস ফেরত পিরোজখারীর মামুনের চাচাতো ভাইসহ কয়েকজনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার লিপি জুয়েলার্সে বিক্রি করে দেয়া হলেও সেখান থেকে তা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, যে যুবক সিঙ্গাপুরে দীর্ঘদিন ধরে প্রবাস জীবনযাপন করেছে, সেই যুবক মাত্র পৌনে ৪ লাখ টাকার সোনার গয়নার লোভ সামলাতে পারেনি? ছি! ধিক ওই যুবকের।

পুলিশসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের পদ্মবিলার পিরোজখালীর আজিম উদ্দিনের ছেলে মামুন দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুর প্রবাসে ছিলো। গত ৩১ জানুয়ারি সিঙ্গাপুর থেকে সে দেশে ফেরে। দেশে ফেরার সময় তারই ঘনিষ্ঠ সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাগেরহাটের রুবেল ৯টি সোনার চেন ও একটি ব্যাসলেট দেয়। ওইগুলো নিয়ে দেশে ফিরে মামুন মোবাইলফোনে রুবেলকে মিথ্যা বলে বাড়ি পিরোজখালী ফেরে। রুবেলের আত্মীয়স্বজন বিষয়টি বিমানবন্দর থানায় জানান। পুলিশ মামুনের মোবাইলফোন ট্যাকিং করে ঠিকানা উদ্ধার করে। গতপরশু চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় মামুনের মাতা-পিতাকে গোয়েন্দা দফতরে নিয়ে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। একপর্যায়ে তাদের আত্মীয়স্বজন ওই সোনার গয়নাগুলোর সন্ধান দেয়। তবে মামুন পুলিশের সামনে আসেনি। সোনার চেনসহ ব্যাসলেট মামুন গ্রামেরই জনপ্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাকের নিকট রাখে বলে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধি। তিনি বলেছেন, সিঙ্গাপুর থেকে যে ব্যক্তি সোনা দেশে নেয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন তার বাড়ি মানিকগঞ্জে। ওই মামুনকে তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিজের কাছে রেখেছিলেন। অথচ তারই প্রেরিত সোনার গয়না আত্মসাতের চেষ্টা চালিয়েছে মামুন।