সিগারেট বিক্রিতে কর ফাঁকি ॥ মেহেরপুরে ডিপো ম্যানেজারের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

 

গাংনী প্রতিনিধি: প্যাকেটে নির্ধারিত বিক্রি দরের চেয়ে বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে সিগারেট। যার মধ্যদিয়ে কর ফাঁকি দেয়া হচ্ছে। সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে নির্ধারিত দরের বাড়তি দরে ডারবি সিগারেট বিক্রির অপরাধে কামরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রোববার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওই অভিযান পরিচালনা করেন মেহেরপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল হক। অর্থ দ-িত কামরুজ্জামান চুয়াডাঙ্গার গোকুলখালী গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি উৎপাদিত সিগারেট বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের মেহেরপুর ডিপো প্রধান তিনি।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, ডারবি সিগারেটের প্যাকেটে ২২ টাকা ৯৩ পয়সা কিংবা ২৩ টাকা দর (এমআরপি) রয়েছে। অথচ ডিপো ম্যানেজার কামরুজ্জামান ও তার অধীনে কর্মরতরা প্রতি প্যাকেট বিক্রি করছে ২৭ টাকা। প্যাকেটের গায়ে নির্ধারিত দরের ওপরে কর পরিশোধ করে কোম্পানি। অথচ বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দরে বিক্রির কারণে বাড়তি দরের কর বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এছাড়াও ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ওই বিষয়টি স্পৃষ্ট হয়। ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় কামরুজ্জামানকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবশ্য জরিমানা পরিশোধ এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ আর করবেন না মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুক্তি পান কামরুজ্জামান।

এদিকে একই ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই জুয়াড়ীর কাছ থেকে ৬শ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। বারাদী এলাকায় জুয়া খেলার সময় সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের সাবের হোসেনের ছেলে মফিজুল ইসলাম ও বারদীর সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাইফুলকে আটক করা হয়। বঙ্গীয় জুয়া আইন ১৮৬৭ এর ৩ ও ৪ ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করে জরিমানা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল হক।