সিইসির নিজ উপজেলা জীবননগরে কোনো রকম প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই ভোটার তালিকার হালনাগাদ কাজ সম্পন্ন

জীবননগর ব্যুরো: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীনের নিজ উপজেলা জীবননগরে কোনো রকম প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই শেষ হলো হালনাগাদ ভোটার তথ্য সংগ্রহের কাজ। হালনাগাদ ভোটার তালিকা কার্যক্রমের ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসের পক্ষ থেকে তেমন কোনো প্রচার-প্রচারণা করা হয়নি। এ কারণে অনেকেই নতুন ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত হতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসসূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জুন এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয় এবং ২৪ জুন শেষ হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য উপজেলায় ৮৮ জন তথ্য সংগ্রহকারী টানা ১০ দিন প্রতিটি বাড়ি গিয়ে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে নতুন ভোটার সংগ্রহ ও মৃত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কথা। অথচ ভোটার তালিকা হালনাগাদের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসের পক্ষ থেকে তেমন কোনো প্রচার-প্রচারণা করা হয়নি। এ কারণে উপজেলার অধিকাংশ মানুষই হালনাগাদ ভোটার নিবন্ধনের কাজ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। ফলে উপজেলার অনেকেই ভোটার তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি।

উপজেলার কর্চ্চাডাঙ্গা গ্রামের মো. আমির হোসেনের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ হয়ে গেলো অথচ আমরা এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কিছুই জানতে পারেনি। একই কথা বলেন, সিইসি কাজী রকিবউদ্দীনের নিজ গ্রাম আন্দুলবাড়িয়ার স্থানীয় সাংবাদিক নারায়ণ ভৌমিক। তিনি বলেন, হালনাগাদ ভোটোর তালিকার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাননি এবং এ ব্যাপারে কোনো মাইকিংও করা হয়নি। যার কারণে অনেকে নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অ.দ.) মো. আবু দাউদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অফিসে লোকবল কম থাকার কারণে তেমন প্রচার করতে পারেনি। উপজেলাব্যাপি দুদিন মাইকিং করা হয়েছে। তবে আজ থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে বাদ পড়া ব্যক্তিগণ ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত হওয়ার সুযোগ পাবেন।