সারাজীবন দুঃসহ স্মৃতি বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে

 

 

ঝিনাইদহ অফিস: সারাজীবন দুঃসহ স্মৃতি বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে। হয়তো সবার সাথে মিলে মিশে স্বাভাবিকভাবেই জীবনযাপনের চেষ্টা করবো কিন্তু প্রতিটা মুহূর্ত আমাকে তাড়িয়ে বেড়াবে ১১ জন মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা। এভাবেই কথাগুলো জানালেন নববধূ জোসনা রানী ওরফে সুন্দরী। গত বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার সাকো মথনপুর গ্রামের সুবল বিশ্বাসের মেয়ে স্কুলশিক্ষিকা জোসনা রানীর বিয়ে হয় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাপস কুমার বিশ্বাসের সাথে। তাপস একই গ্রামের মৃত রনজিত কুমার বিশ্বাসের ছেলে। বিয়ে শেষে যাত্রীবাহী বাস বারবাজার মাছ বাজারের রেল ক্রসিং অতিক্রম করছিলো। এ সময় দিনাজপুরের সৈয়দপুর থেকে খুলনাগামী সীমান্ত ৭৪৮ ডাউন এক্সপ্রেস ট্রেন বাসটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনায় একই পরিবারেন ৩ জনসহ ১১ জন নিহত হয়। নববধূ জোসনা আরো জানান, আহত ও নিহতরা আজ সবাই আমার সাথে দেখা করতো। সবাই পরিচিত হতো, কতোই না আনন্দ করতো। অথচ তাদের সাথে পরিচয়ের আগেই চলে গেলো না ফেরার দেশে। এটা মেনে নেয়া অসম্ভব।