সামগ্রী উৎপাদন : বিএসটিআই’র নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়ায় রাজবধূ নামের কারখানায় ভেজাল খাদ্য ও মসলা

 

স্টাফ রিপোটার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামে অবস্থিত রাজবধূ নামের কারখানায় বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মিশ্রিত ভেজাল খাদ্য ও মসলা সামগ্রী উৎপাদন করে বাজারজাত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এ ধরনের উৎপাদিত পণ্য নিয়মিত খাওয়ার ফলে বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগও হতে পারে। ভেজাল পণ্য বিক্রি করে রাজবধূ কোম্পানির দুই স্বত্বাধিকারীর আঙুল ফুলে কলাগাছ।

জানা গেছে, রাজবধূ নামের এই কোম্পানি বিএসটিআই’র অনুমোদনের নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চুয়াডাঙ্গা সদরের আলুকদিয়া প্রেমবাজারে রান্নার মসলা, হলুদের গুঁড়া, ধনের গুঁড়া, ঝালের গুঁড়া, চানাচুর, সরষের তেল, নারকেল তেল, পানের মসলা, আগরবাতিসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী উৎপাদন করা হয়। বিএসটিআই’র লোগো ব্যবহার করে এসব দ্রব্যাদি বাজারজাত করছেন রাজবধূ নামের কোম্পানির দুই মালিক। এতে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আর জনগণ খাচ্ছে ভেজাল খাদ্য।

ক্রেতা সাধারণ অভিযোগ করে বলেন, রাজবধূ প্রোডাক্টের রান্নার মসলা সামগ্রী কেমিক্যাল ও ময়দা মিশিয়ে ১শ’ গ্রাম থেকে শুরু করে ৫শ’ গ্রাম করে প্যাকেট করে বাজারজাত করছে। এসব মসলা বাড়িতে কয়েক দিন খোলা জায়গায় আলো বাতাসে রাখলে ময়দা ও কেমিক্যাল জমাট বেঁধে শাদা আঠালো হয়ে যায় বলে জানান ক্রেতারা। এদিকে কোম্পানিটি বিএসটিআই’র অনুমোদনের লোগো লাগিয়ে সয়াবিন তেল দিয়ে তৈরি ভেজাল সরষের তেল ও নারকেল তেল দেদারছে বিক্রি করে যাচ্ছে।

সরেজমিনে কোম্পানিতে গিয়ে রাজবধূ নামের কোনো সাইনবোর্ড দেখা যায়নি এবং কোম্পানির তৈরি পণ্য কিভাবে তৈরি করা হয় দেখতে চাইলে কয়েকটি বেষ্টনি পার হয়ে যাওয়ার আগেই পণ্য তৈরি বাদ দিয়ে কর্মচারীদের এক জায়গায় বসে থাকতে দেখা গেছে।

বিএসটিআই’র নাম ভাঙিয়ে ভেজাল পণ্য তৈরি ও বিক্রেতা রাজবধূ কোম্পানির মালিক মেহেরপুর জেলার বারাদী এলাকার মোজাম্মেল হক ও আলমডাঙ্গার চিৎলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম এক সময় বাইসাকেলে করে দোকানে দোকানে এসব পণ্য বিক্রি করে বেড়ালেও বর্তমানে কোম্পানি খুলে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।

সচেতন এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা, এই দুই ব্যবসায়ী খালি হাতে এসে চুয়াডাঙ্গার দৌলতদিয়াড়ের বঙ্গজ বিস্কুট ফ্যাক্টারির অদূরে ৬০ লাখ টাকা দিয়ে এক বিঘা জমি কেনার টাকা পেলেন কোথায়?

এলাকাবাসী ও কোম্পানির পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়া ভুক্তভোগীরা মনে করেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উৎপাদিত পণ্যের মান যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেবেন।