সাবেক সিভিল সার্জন ডা.আব্দুল কুদ্দুস ভূঁইয়া ও ঠিকাদারশফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস ভূঁইয়া ও আসবাবপত্র সরবরাহকারী ঠিকাদার শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। অভিযোগপত্রে দুজনের বিরুদ্ধে যোগসাজশ করে ৬ লাখ ৩০ হাজার ৮৫৭ টাকা ৮০ পয়সা সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আব্দুল গাফফার গত ২৬ জুন অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন। গত ১ জুলাই চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ পারভীন অবগত হন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন আব্দুল কুদ্দুস ভূঁইয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় ও চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যবহারের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৭৮০ টাকার আসবাবপত্র গ্রহণ করেন। যার মধ্যে মামলা সংশ্লিষ্ট ১৪টি পণ্য বাজারের তুলনায় উচ্চমূল্যে কেনার অভিযোগ আনা হয়। অর্থাৎ ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যে ১৪টি পণ্য কেনা হলেও তার প্রকৃত বাজার মূল্য ছিলো সাত লাখ ৪৭ হাজার ৮৫৭ টাকা ২০ পয়সা। এতে সিভিল সার্জন ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে যোগসাজশ করে ৬ লাখ ৩০ হাজার ৬৪২ টাকা ৮০ পয়সা সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

দুর্নীতি দমন ব্যুরো চুয়াডাঙ্গার সাবেক পরিদর্শক আবুল কাশেম বাদী হয়ে সিভিল সার্জন আব্দুল কুদ্দুস ভূঁইয়া ও ঠিকাদার শফিকুল ইসলামকে আসামি করে ১৯৯৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, একে অপরকে লাভবান করে সরকারি টাকা অতিরিক্ত প্রদান করে আত্মসাত ও আত্মসাতের সহযোগিতা করার অপরাধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

উল্লেখ্য, ডা.আব্দুল কুদ্দুস ভূঁইয়া ১৯৯২ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ১৯৯৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ডা.আব্দুল কুদ্দুস ভূঁইয়া ঢাকা মনিপুরি বাসায় বসবাস করছেন।