সাবেক এমপি আমজাদ ফের জেলহাজতে : এবার আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলায় গ্রেফতার

 

হরলতার অবরোধের সময় ভাঙচুরসহ একাধিক মামলায় হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরতে পারলেন না মেহেরপুর জেলা বিএনপি সভাপতি

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেলা বিএনপি সভাপতি মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেনকে জেলগেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার তাকে গ্রেফতার করে আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন হত্যামামলার আসামি হিসেবে পুনরায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত জেল হাজতে প্রেরণের অদেশ দেন। ফলে তাকে আবারও জেল হাজতে নেয়া হয়।

জানা গেছে, একটি মামলায় জামিনে মুক্তি পেলে মেহেরপুর জেলা কারাগারের প্রধান ফটক থেকে গতকাল সকালে আমজাদ হোসেনকে আটক করে সদর থানায় নেয় পুলিশ। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আলম জানিয়েছেন, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর রাতে বাড়ির অদূরে কুপিয়ে খুন করা হয় গাংনী পৌর ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নুরুল আমিনকে (৩৮)। ওই হত্যাকাণ্ডের ইন্ধনদাতা হিসেবে আমজাদ হোসেনেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে দুপুরে আমজাদ হোসেনকে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মতিউর রহমান তাকে জেল হজাতে প্রেরণের আদেশ দেন। আগামীকাল মঙ্গলবার জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

হরতাল-অবরোধের সময় আমজাদ হোসেনসহ বেশ কিছু নেতাকর্মীর নামে একাধীক মামলা রুজু করে পুলিশ। তিনটি মামলার আসামি হিসেবে আমজাদ হোসেন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। দুটি মামলায় মেহেরপুর জেলা জজ আদালত ও অপরটিতে উচ্চদালত থেকে জামিন পান তিনি। গতকাল সকালে তিনি হাজতমুক্ত হবেন এ খবরে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমর্থক মেহেরপুর জেলা কারাগারের সামনে তাকে স্বাগত জানাতে ভিড় করেন। ২৮ দিন হাজতবাসের পর কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে তিনি অপেক্ষমান নেতাকর্মীদের কাছে আসছিলেন। এ সময় সদর ও গাংনী থানা পুলিশের কয়েকটি দল তাকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। বইছে প্রতিবাদের ঝড়।