সাকার ৫ পাকিস্তানি সাক্ষীর বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

 

স্টাফ রিপোর্টার: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা) পক্ষে ডিফেন্স সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত হতে চেয়ে আবেদনকারী পাঁচ পাকিস্তানির বাংলাদেশে প্রবেশের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। ওই পাঁচ পাকিস্তানি হলেন, পাকিস্তানের স্থপতি মুনিব আরজুমান্দ খান, পাকিস্তানের ডন গ্রুপের চেয়ারম্যান আমবর হারুন সায়গল, পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রী ইসহাক খান খাকওয়ানি, ভিকারুননিসা নূনের নাতি রিয়াজ আহমেদ নূন এবং পাকিস্তানের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মোহাম্মদ মিয়া সুমরো। শুক্রবার দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন নামে একটি পাকিস্তানি দৈনিক এ খবর প্রকাশ করেছে।

খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুলিশের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। যেখানে এই পাঁচজনের ছবি এবং নাম পাঠিয়ে তাদেরকে কালোতালিকাভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুলিশের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ওই পাঁচজনকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। খবরে আরো বলা হয়, মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং বিএনপির অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে আন্তর্জাতিক মানের ঘাটতি রয়েছে এবং মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এ বিষয়ে খাকওয়ানি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপে আমরা হতাশ। আমরা প্রত্যেকটি ফোরাম থেকে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে আন্তর্জাতিক সাক্ষী হিসেবে তাদের আবেদন গ্রহণ না করায় ট্রাইব্যুনালের যুক্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। গত সোমবার সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী তার ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) শুনানিতে পাঁচ পাকিস্তানিসহ আটজনের সাফাই সাক্ষ্য নেয়ার আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ পৃথক চারটি (৩, ৫, ৬ ও ৮নং) অভিযোগে সাকা চৌধুরীকে ফাঁসির আদেশ দিয়ে রায় দেন। এছাড়া তিনটি (২, ৪ ও ৭নং) অভিযোগে তাকে দেয়া হয় ২০ বছর করে কারাদণ্ড। দুটি (১৭ ও ১৮নং) অভিযোগে দেয়া হয় পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড। একই বছরের ২৯ অক্টোবর এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সাকা চৌধুরী। আপিল বিভাগ এই আপিল নিষ্পত্তি করে গত ২৯ জুলাই তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। ৩০ সেপ্টেম্বর সাকা চৌধুরী ও আরেক যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি বহালের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হয়। এরপর ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল থেকে তাদের মৃত্যুপরোয়ানা জারি করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আসামিরা রিভিউ আবেদন দায়ের করতে পারেন। সেই হিসাবে এরই মধ্যে দু আসামির পক্ষে রিভিউ আবেদন দায়ের হয়েছে। তাদের রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।