সাংবাদিক আলমগীরের পিতা দর্শনার বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আব্দুল লতিফের ইন্তেকাল

স্টাফ রিপোর্টার: সাংবাদিক এফ.এ আলমগীরের পিতা দর্শনার বিশিষ্ট আলেম দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষক ও পৌর ইমাম সমিতির সভাপতি আলহাজ মাওলানা এবিএম আব্দুল লতিফ আর নেই (ইন্নালিল্লাহে……….রাজেউন)। গতকাল দুপুর দেড়টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আজ সকালে জীবননগরের সেনেরহুদায় তার দাফন সম্পন্ন হবে।

মরহুমের বড় ছেলে সাংবাদিক এফএ আলমগীর জানান, গত ১০ মার্চ সকাল ১১টায় ঘুমের মধ্যে মাও. আব্দুল লতিফ (৭৬) ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তাকে ওই দিনই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মাওলানা আব্দুল লতিফ ১৯৭৮ সালে শর্ষিনা কামিল মাদরাসা থেকে হাদিস শাস্ত্রে কামিল পাস করার পর প্রথমে চৌগাছার জগদীশপুর হাইস্কুলে, পরে মহেশপুরের জিন্নাহনগর হাইস্কুলে ও সর্বশেষ ১৯৭৬ সালে দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১২ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘ দিন পৌর ইমাম সমিতির সভাপতি ছাড়াও দর্শনা ইসলাম বাজার মসজিদ, পুরাতন বাজার মসজিদ, আমতলা মসজিদ, কাস্টমস জামে মসজিদ ও সর্বশেষ ঈদগাহপাড়া জামে মসজিদেও ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গতকাল বাদ মাগরিব তার প্রথম নামাজে জানাজা দর্শনা রেলবাজারস্থ ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকাল সাড়ে ৮টায় জীবননগরের সেনেরহুদা ঈদগামাঠে ২য় নামাজে জানাজা শেষে জান্নাতুল খাদরা কবরস্থানে দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল হক মালিক ও সেক্রেটারি রুহুল আমিন, ইমাম সমিতির সেক্রেটারি আলহাজ মাওলানা নুরুল ইসলাম, দর্শনা প্রেসক্লাব সভাপতি হানিফ মণ্ডল ও সেক্রেটারি ইকরামুল হক পিপুল প্রমুখ। তারা মাগফেরাত কামনা করেছেন। মাও. আব্দুল লতিফ মৃত্যুকালে স্ত্রী, দু পুত্র, চার কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।