সাংবাদিকসহ আহত ২শ : অনির্দিষ্টকালের জন্য রাবি বন্ধ ঘোষণা

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলা : পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ

স্টাফ রিপোর্টার: আবারও রক্তাক্ত হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। পুলিশ-ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলা ও গুলিতে সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২শ শিক্ষার্থী। ছাত্রলীগের কর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছোঁড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দিকে। তাদের পাশে থেকে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোঁড়ে পুলিশ। বর্ধিত ফি ও সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিলের দাবিতে কর্মসূচি চলাকালে গতকাল দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেটের জরুরি বৈঠক ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। একই সাথে আজ সোমবার সকাল ৮টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

এদিকে ছাত্রলীগ-পুলিশের গুলি ও হামলার প্রতিবাদ এবং ৬ দফা দাবিতে লাগাতার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের গুলির ঘটনায় দায়িত্বরত তিন সহকারী প্রক্টরকে অপসারণ ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপকমিশনার প্রলয় চিসিমকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকরা। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার স্বার্থে দু প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় দিনের ধর্মঘটের শুরুতে সকালে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশি। বাধা উপেক্ষা করে সকাল সাড়ে ৮টায় ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে প্রশাসন ভবন ঘেরাও করে সমাবেশ শুরু করেন তারা। সমাবেশ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর সমাবেশের পাশে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছিলো। বেলা সাড়ে ১১টায় দলীয় টেন্ট থেকে মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের ভেতর ঢুকে যায়। এ সময় বসে থাকা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উঠে গিয়ে মিছিলের জন্য জায়গা করে দেয়। মিছিলটি সমাবেশস্থল অতিক্রম করে কিছুদূর যাওয়ার পর অতর্কিত মিছিলটি পেছনে ঘুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। তারা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে প্রথমে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পরে গুলি ছোঁড়ে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত সালাম, মোস্তাকিম বিল্লাহ, ফয়সাল আহম্মেদ রুনুকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। একই সাথে সমাবেশের পাশে লিচুতলায় আগে থেকে অবস্থিত পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোঁড়ে। শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে এদিক-সেদিক দৌঁড়াতে থাকে। রাবার বুলেটবিদ্ধ হয়ে অনেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় সহপাঠীদের বয়ে নিতে দেখা যায় তাদের। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের লিচুতলা, শহীদুল্লাহ কলাভবন ও পুরনো ফোকলোর চত্বরে ছড়িয়ে-ছিঁটিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। প্রথম দফা হামলায় ৩০ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার পর ছত্রভঙ্গ হয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ বিভিন্ন ভবনে আশ্রয় নেয়। এ সময় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ও টুকিটাকি চত্বরে অবস্থান নেয়। ছাত্রলীগ নেতাকর্র্মীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার লক্ষ্য করে গুলি ও ইটপাটকেল ছোঁড়ে। কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রবীন্দ্র কলাভবনের দিকে সরে যায়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভেতরে আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় কিছুক্ষণ পরপর ভেতরে আটকে পড়া আহত শিক্ষার্থীদের বাইরে বের করে আনা হয়। আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চাওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে কোনো অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়নি।

এদিকে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা মাদার বখশ হলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় ছাত্রলীগ ও পুলিশ হামলা চালায় তাদের ওপর। শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাদার বখশ হলের ভেতর ঢুকে যায়। এ সময় হল দুটি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ হলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে। বেলা দেড়টায় আন্দোলনের সমর্থনকারী পাঁচ শিক্ষক কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে ভেতরে অবস্থানকারী উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে তারা সেখানে প্রেসব্রিফিং করে হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের গুণ্ডা ও পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে প্রশাসন আন্দোলন নস্যাৎ করতে চাইছে।

শিক্ষকরা হলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বখতিয়ার আহমেদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কাজী মামুন হায়দার রানা, ফোকলোর বিভাগের সুস্মিতা চক্রবর্র্তী এবং পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক আবু নাসের। এদিকে দুপুর ২টায় বিভিন্ন আবসিক হল থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনে থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্র্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে জড়ো হয়। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। এ ছাড়া দুপুর আড়াইটায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরি ভবনে রাখা শিক্ষকদের কয়েকটি গাড়ি ও শিক্ষকক্লাবে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরে বিকেল ৩টায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে সমাবেশ করেন।

দুপুর সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাংবাদিকরা হামলার বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিমের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় ক্যাম্পাসে গুলি করার কারণ জানতে চাইলে সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে আসে পুলিশ সদস্যরা। একপর্যায়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এতে ৬ সাংবাদিক আহত হন। এ সময় রাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শাকিল আহমেদের বুকে শটগান ঠেকায় পুলিশ। আহত হন নিউএজ-এর রাবি প্রতিনিধি নাজিম মৃধা, শীর্ষনিউজের তমাল, মানবকণ্ঠের ফাহিম, ফ্ল্যাশ নিউজের সজীবন, এবিনিউজের মুন। এ ছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে আহত হন দৈনিক যায়যায়দিনের সাংবাদিক জুয়েল। এর প্রতিবাদে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত সহকারী প্রক্টর সিরাজুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন, হেলাল উদ্দিনকে অপসারণ ও পুলিশ উপকমিশনার প্রলয় চিসিমকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ব্যাপারে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার প্রলয় চিসিম বলেন, কয়েক দিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চলছিলো। গতকাল সমাবেশ চলাকালে একটি মিছিল আসে, পরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অ্যাকশনে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীর বিপক্ষে কখনও অ্যাকশনে যেতে পারি না। কিন্তু তারা আন্দোলনকালে আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে। পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তিনি গতকালের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত আখ্যায়িত করে সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন: গতকাল রাত সোয়া ৮টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ৮ দফা দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেয়া সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সান্ধ্যকোর্স স্থগিত নয় বাতিল, চলমান আইন ও ব্যবসায় অনুষদের সান্ধ্যকোর্স বাতিল, সব ধরনের বর্ধিত ফি বাতিল। অবিলম্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা, জনসংযোগ প্রশাসকসহ রাবি প্রশাসনের পদত্যাগ করতে হবে, আন্দোলনে হামলাকারী ছাত্রলীগ কর্মীদের গ্রেফতার ও বিচার এবং একাডেমিকভাবে বহিষ্কার করতে হবে ও হামলায় আহত ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসার দায়িত্ব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে, হামলায় নেতৃত্বদানকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, হলে আবাসিক শিক্ষার্থীদের থাকা এবং সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এ সময় সোমবার থেকে লাগাতার সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।

এদিকে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বলেন, শিবিবের ক্যাডাররা আন্দোনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবেশ করে ক্যাম্পাসে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, সে জন্য শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বলেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন মুন ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য রাবি ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে এ হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করা না গেলে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ হবে না।
ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা: উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেটে রাবি ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ জন্য আজ সোমবার সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহ খালি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল রাত ৯টায় জনসংযোগ কর্মকর্তা অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ভিসির বাসায় সিন্ডিকেটের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। এ বৈঠকেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এদিকে ঘটনা তদন্তে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. খালেকুজ্জামানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের মুখে শনিবার বর্ধিত ফি বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের দাবি পুরোপুরি মেনে না নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্স চালু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ফি দুই থেকে পাঁচ গুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এর আগে থেকেই আইন ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু আছে। গত মঙ্গলবার থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও প্রশাসন ভবন ঘেরাও করার পর বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ধর্মঘট করে আসছে শিক্ষার্থীরা।