সহিদ ওসমান লিটনের ইন্তেকাল : আজ দাফন

স্টাফ রিপোর্টার: অন্যের উপকার করা যার ছিলো নেশা, আইন পড়ে, রাজনীতি করে সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন ছিলো যার দু’চোখ জুড়ে, সেই লিটন দীর্ঘদিন তার উৎকর্ষতা মেলে ধরার বদলে ভবঘুরে হয়ে ঘুরেছেন উদাস মনে। অবশেষে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নিজবাড়ি নিঃসঙ্গ অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না… রাজেউন)। আজ রোববার সকাল ৯টায় মেহেরপুর হোটেল বাজার জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে কলেজমোড় পৌর কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে। নামাজে জানাজা ও দাফনে শরিক হওয়ার জন্য বন্ধুমহলসহ তার ভাই ও নিকজনেরা অনুরোধ জানিয়েছেন।
মেহেরপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র কাসারিপাড়ার মরহুম ডা. আব্দুর রশিদের ছেলে সহিদ ওসমান লিটনের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিলো ৪৭ বছর। তিনি মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের এক সময় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৬ সালে এসএসসি ও ৮৮ সালে মেহেরপুর কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে সম্মান অর্জন করেন। মেহেরপুরে ফিরে তিনি আইনপেশায় নিয়োজিত হওয়ার প্রস্তুতি নিলেও পারিবারিক সঙ্কট তাকে উদাসীন করে তোলে। দিন দিন শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতির উন্নতির বদলে অবনতিই ঘটে। গতকাল শনিবার দুপুরে নিজবাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার পর ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় তাকে ডাকতে গেলে সাড়া না পেয়ে দেখেন লিটন আর বেঁচে নেই। কখন যে লাশ হয়েছে সে, বুঝতে পারেননি কেউ। লিটনের মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে। মেহেরপুরের ৮৬ ম্যাচ অম্লান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বন্ধু লিটনের মৃত্যু খবর বন্ধুমহলে ছড়িয়ে দিলে বন্ধুদের মধ্যে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। মেহেরপুর যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষির্কীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহিদ ওসমান লিটনের মৃত্যুর কারণে না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে অম্লানের তরফে জানিয়েছেন মিল্টন।
সহিদ ওসমান লিটন দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক সরদার আল আমিনের শুধু সহপাঠীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের অন্যতম। তার মৃত্যুতে মাথাভাঙ্গা সম্পাদক এক শোকবার্তায় বলেছেন, লিটনের মতো প্রতিভাবান একজন মানুষের নিকট থেকে সমাজ যা পেতে পারতো তা তার অসুস্থতার কারণে পায়নি। সুস্থ হয়ে উঠবে আশায় ছিলাম আমরা বন্ধুমহল। শেষ পর্যন্ত হয়নি। সকলকে কাঁদিয়ে লিটনের এই চিরবিদায় বন্ধুমহলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা পূরণ হওয়ার নয়। লিটনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমাবেদন জানাচ্ছি।