সরকার ও বিরোধী দল : দু কূলেই থাকছে জাতীয় পার্টি

স্টাফ রিপোর্টার: সরকার ও বিরোধী দল। দু কূলেই থাকছে জাতীয় পার্টি। দলটির প্রধান এইচএম এরশাদ মন্ত্রীর পদমর্যাদায় নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত নিযুক্ত হয়েছেন। তার দলের অপর তিন নেতা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। আর এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদকে করা হয়েছে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা।
এর ফলে দশম জাতীয় সংসদে কার্যত কোনো বিরোধী দল থাকছে না। অভিনব এ সরকারকাঠামো নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। নবগঠিত এ মন্ত্রিসভা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক এবং উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপন্থি বলেও বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। তাদের মতে, সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা ও মন্দ কাজের বিরোধিতা করা। কিন্তু বিরোধী দলকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে তাদের বিরোধিতা করার নৈতিক সামর্থ বিনাশ করা হয়েছে। একই সাথে সংসদের কাছে সরকারের জবাবদিহির ক্ষেত্রও নষ্ট হয়েছে। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বিরোধী দল গণতন্ত্রের পাহারাদার। তাদের দায়িত্ব সরকারের ভালো কাজের সমর্থন দেয়া, খারাপ কাজের সমালোচনা করা। এখন যে মন্ত্রিসভা হয়েছে, তা সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে বিরল। বিরোধী দল যদি সরকারে ঢুকে যায়, তবে গণতন্ত্র পাহারা দেবে কে?প্রসঙ্গত, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী-সম্পর্কিত বিশেষ কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী, সংসদে একজন বিরোধীদলীয় নেতা থাকবেন। তিনি সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠিত দলের নেতা হবেন। জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ গত শনিবার শপথ নেয়ার পরপরই দলের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে গতকাল রোববার জাপার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সরকারের মন্ত্রী এবং মুজিবুল হক চুন্নু ও রংপুর জেলা মহানগরের নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। একই দিন এরশাদকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত নিযুক্ত করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।