সরকারের এক বছর : সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচনে জয় লাভের পর গত বছরের ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। সাফল্য-ব্যর্থতায় কেটেছে এই একটি বছর। সাফল্যের তালিকা দীর্ঘ, তবে ব্যর্থতাও আছে। সরকারের এক বছরের কর্মকা- নিয়ে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বিটিভি এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তার ভাষণ সম্প্রচার করবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৫৭টিতে জয় পায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জোটগতভাবে তারা পেয়েছে ২৮৮ আসন। অন্যদিকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা সব মিলিয়ে পেয়েছে মাত্র ৭টি আসন। ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচন করা হয়। একইদিন সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হয়। ৭ জানুয়ারি শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং ৩ জন উপমন্ত্রী। আর এবারের সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ২০ বছরের রাষ্ট্র পরিচালনাকারী প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি পাবেন।
গত এক বছরে সরকারের বিভিন্ন খাতে অর্জনের খাতায় সাফল্য যোগ হয়েছে ব্যাপক। এর মধ্যে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ মেগা প্রকল্পগুলোর কাজে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। দুর্নীতি ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান সরকারের ভাবমূর্তিকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। প্রত্যাশিত সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
এছাড়া দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আনতে ব্যাংক ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এত অগ্রগতির পরও বেশকিছু কর্মকা- সরকারের ভাবমূর্তিকে কিছুটা হলেও ম্লান করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বছরব্যাপী ব্যাপক সমালোচিত রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুত কে›েত্র বালিশকা-।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে চুক্তি নিয়োগ, বিভিন্ন মামলা দিয়ে বিরোধী রাজনীতির প্রতি কঠোর অবস্থান সরকারকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারেও কোনো অগ্রগতি হয়নি। সবশেষে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে রাজাকারের তালিকা। সবকিছু মিলে সাফল্যের পাশাপাশি ব্যর্থতাও কম নয়।