সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহ-১ হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন আর নেই। বুধবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে ভারতের মোম্বাইয়স্থ হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। মৃত্যুকালে প্রমোদ মানকিন তার স্ত্রী মমতা আরেং, পাঁচ কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।

তিনি ১৯৩৯ সালের ১৮এপ্রিল নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলার বাকালজোড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে এক গারো পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা স্বর্গীয় মেঘা তজু এবং মাতা স্বর্গীয়া হৃদয় শিসিলিয়া মানকিন। তিনি ৮ ভাই-বোনদের মধ্যে পঞ্চম। ১৯৬৩ সালে নটরডেম কলেজ থেকে বিএ, ১৯৬৮ সালে বি এড এবং ১৯৮২ সালে এএলবি পাশ করেন।  তিনি ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। একজন স্কুল শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে তার সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ। বর্তমানে তিনি হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার  অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের অন্যতম সদস্য, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও হালুয়াঘাটের গোবরাকুড়া আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সভাপতি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতের মেঘালয় রাজ্যে শরনার্থী শিবিরে রেডক্রসের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১, ২০০১, ২০০৮ সালে হালুয়াঘাট থেকে এবং ২০১৪ সালে হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথমে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে   সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।