সনদ জটিলতায় এরশাদ : সম্পদের তথ্য গোপনেরও অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: বিতর্ক আর অভিযোগ যেন একেবারেই পিছু ছাড়ছে না সাবেক স্বৈরশাসক ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের। এবার সাবেক এ রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে নির্বাচনী হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ নিয়ে জটিলতার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে সম্পদ গোপন করার অভিযোগও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।

আর এসব অভিযোগ তুলেছেন গত ৫ জানুয়ারির (বিতর্কিত) নির্বাচনে রংপুর-৩ আসনের তারই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাব্বির আহমেদ। ইতোমধ্যে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে এরশাদের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি ওই আসনে তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে ঘোষণা দিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত আবেদনও জানিয়েছেন সাব্বির। একইসাথে এরশাদ এইচএসসি পাস করেননি বলেও দাবি করেছেন সাব্বির আহমেদ। তিনি তার লিখিত অভিযোগে বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ঢাকা বোর্ডে খোঁজ করে এরশাদের এইচএসসির সনদের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, নির্বাচনী হলফনামায় এরশাদ নিজেকে বি.এ (স্নাতক) পাস বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো সনদ নির্বাচন কমিশনে জমা দেননি। সনদের পরিবর্তে ২০০৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা একটি সাধারণ ডায়েরি নম্বর উল্লেখ করেছেন এরশাদ। হলফনামায় ২০০৮ সালে করা ওই সাধারণ ডায়েরির একটি কপিও সংযুক্ত করছেন তিনি। সাধারণ ডায়েরিতে এরশাদ উল্লেখ করেছেন ১৯৯০ সালের ১২ ডিসেম্বর তৎকালীন সেনাভবন থেকে তার এসএসসি থেকে স্নাতক পর্যন্ত সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদসহ সকল প্রকার জরুরি কাগজপত্র হারানো গিয়েছে। এরশাদের করা ওই সাধারণ ডায়েরির নম্বর ৮৪২।