সদ্যভূমিষ্ঠ নবজাতককে শ্বাসরোধ করে হত্যা : গাছের ডাল থেকে উদ্ধার

আলমডাঙ্গা ব্যুরো/জামজামি প্রতিনিধি: ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পরই এক কন্যা শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর নবজাতকের মৃতদেহ একটি ব্যাগে ভরে আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদা পাঁচলিয়া গ্রাম সংলগ্ন বাগানের গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখেছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকালই পুলিশ নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। নবজাতক কারো অবৈধ দৈহিক সম্পর্কের ফসল নাকি কন্যাসন্তান বলেই ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই কোনো এক ডাইনির হাতে দিতে হয়েছে প্রাণ? এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের নওদা পাঁচলিয়া গ্রামের বিলের ধারে একটি বাগানে দুপুরে গ্রামবাসী একটি নবজাতকের লাশভর্তি একটি ব্যাগ গাছে ঝুলতে দেখে। পরে ওই শিশুর লাশটি দেখে চৌকিদার নির্মল পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটির খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শ’ শ’ উৎসুক নারী-পুরুষ এক নজর দেখার জন্য বাগানে ভিড় জমায়।
এলাকাবাসী ধারনা করছে, হয়তো কারো অবৈধ সর্ম্পকের ফসল এই নবজাতক। নতুবা কন্যা হয়ে ভূমিষ্ঠ হওয়ায় তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে শুরুতেই। নবজাতকের গলায় নাইলনের নেট দিয়ে পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কে বা কারা এই নবজাতককে হত্যা করে ব্যাগে ভরে ঝুলিয়ে রেখে গেছে তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধারের সময় উৎসুক জনতার ভিড় জমে। অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলেন, কী অপরাধ ছিলো ফুটফুটে এই নবজাতকের? পৃথিবীতে আসার পরপরই তাকে ঝরে যেতে হলো? যার সন্তান, সেই বা কেমন মা? ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করার পর ভূমিষ্ঠ হতেই তুলে দিয়েছে ডাইনির হাতে? নাকি নিজেই করেছে হত্যা? নবজাতকের পরিচয় ও হত্যা রহস্য উন্মোচনে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। আলমডাঙ্গা থানার এসআই আসাদ নবজাতকের লাশ থানায় নিয়ে আসেন। আজ মঙ্গলবার নবজাতকের ডিএনএ সংরক্ষণের জন্য হাসপাতালমর্গে পাঠানো হবে। এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা হয়েছে।