শ্রমিকদের গুলশান কার্যালয় ঘেরাওয়ের চেষ্টা

অবরোধ তুলে নিতে খালেদা জিয়াকে দু দিনের আল্টিমেটাম

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় ঘেরাওয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধায় গুলশান-২ নম্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে অবরোধ তুলে নিতে খালেদা জিয়াকে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগসহ ৬টি সংগঠন। এ সময়ের মধ্যে অবরোধ প্রত্যাহার না করলে খালেদা জিয়ার পরিণতি ভয়াবহ হবে বলেও হুঁশিয়ার করে দেন সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, ঢাকা জেলা হিউম্যান হলার সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, ঢাকা জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন, গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কয়েকশ নেতাকর্মী গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের উদ্দেশে রওয়ানা হলে পুলিশ নর্থ রোডের কাছে তাদের আটকে দেয়। পরে তারা গুলশান-২ নম্বর গোল চত্বরে এসে সমাবেশ করে এবং হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। সোয়া দু ঘণ্টা তারা সেখানে অবস্থান করেন। এই ঘোরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকালেই গুলশান-২ এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি জলকামানের একটি গাড়িও সেখানে প্রস্তুত রাখা ছিলো।

সমাবেশে সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, খালেদা জিয়া তার কার্যালয়ে বসে অবৈধ অবরোধে জ্বালাও-পোড়াওয়ের হুকুম দিচ্ছেন। উনি এই পথ থেকে সরে না এলে পরিণতি ভয়াবহ হবে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী বলেন, খালেদা জিয়াকে শনিবারের মধ্যে অবরোধ-হরতাল তুলে নিতে হবে। নইলে আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন শুরু করবেন তারা। অবরোধে গাড়িতে আগুন দিয়ে চালক-শ্রমিকদের হত্যার ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করার দাবি জানান তিনি।

এদিকে ঘেরাওয়ে অংশ নিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত গাড়িচালক সমিতি, ওলামা লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা প্রেসক্লাব থেকে কাকরাইল হয়ে গুলশানের দিকে যাওয়ার পথে মালিবাগ মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এরপর নেতা-কর্মীরা সেখানেই বসে পড়েন এবং খালেদা জিয়া ও তার কর্মসূচির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। অপরদিকে বেলা পৌনে ১টার দিকে ‘খেটে খাওয়া নগরবাসী’র ব্যানারে প্রায় ৫০ জনের একটি দল খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের একেবারে কাছাকাছি চলে যায়। তাদের সবার হাতে কোদাল ও ঝুড়ি ছিলো। কার্যালয়ের ভেতরে যেতে দেয়ার জন্য তারা পুলিশকে অনুরোধ করেন, খালেদা জিয়ার সাথে কথা বলার সুযোগ চান। তবে পুলিশ তাদের কার্যালয়ের কাছে আটকে দেয়। পুলিশের বাধার মুখে খেটে খাওয়া নগরবাসীর সদস্যরা কার্যালয়ের কাছে গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ‘পেটে লাথি মেরো না, তুলে নাও অবরোধ’, ‘আমার বাবাকে পুড়িয়ে মারা হলো কেন?’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয় লক্ষ্য করে কয়েকটি ডিম ছুঁড়ে মারা হয়।