শোক দিবসে এমপি সেলিনা আক্তার বানুর গাড়িতে জাতীয় পতাকা!

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় পতাকা ব্যবহারের নিয়মনীতি ভঙ্গ করে তোপের মুখে পড়েছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের-৩০৭ (মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা) এমপি সেলিনা আকতার বানু। জাতীয় শোক দিবসে তার গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখে বিস্মিত হয়েছেন মেহেরপুরবাসী। অবশেষে স্থানীয় লোকজনের তীব্র সমালোচনার মুখে পতাকাটি খুলে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন তার গাড়িচালক। গতকাল শনিবার গাংনী উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শোকৱ্যালিতে আসার সময় তিনি নিজ গাড়িতে পতাকা ব্যবহার করেন। তবে তার অজান্তে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করেছেন এমপি সেলিনা আকতার বানু।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পতাকাবাহী গাড়িটি দেখে অনেকেই ধারণা করেছিলেন- হয়তো শোক দিবসে কোনো মন্ত্রীর আগমন ঘটেছে। প্রশাসনও ছিলো তৎপর। কিন্তু হঠাৎ করেই ওই গাড়ি থেকে এমপি সেলিনা আক্তার নেমে এলে সবাই হতবাক হয়ে পড়েন। জাতীয় পতাকা ব্যবহার নীতিমালা অনুযায়ী কোনো এমপি তার গাড়িতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে পারেন না। অথচ সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি তার গাড়িতে কীভাবে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করলেন এটা নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা।

অপর সূত্র জানায়, গাংনীতে ৱ্যালি শেষ করে তিনি পতাকাবাহী গাড়িযোগে মেহেরপুরে চলে যান এবং জেলা প্রশাসন আয়োজিত মেহেরপুরের শোকৱ্যালিতে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ৱ্যালিতে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার হামিদুল আলমসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ৱ্যালিটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পৌঁছায়। ৱ্যালির পেছন পেছন পতাকাবাহি গাড়িটি যেতে দেখে জনমনে নানান প্রশ্ন জানে এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় লোকজনের নানা সমালোচনা ও তোপের মুখে পড়লে অবশেষে গাড়ি থেকে পতাকাটি খুলে ফেলেন ওই গাড়ির চালক।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন বলেন, যদি তিনি সজ্ঞানে জাতীয় পতাকা তুলে থাকেন তবে তা দেশের প্রচলিত আইনের সাথে সংঘাতপূর্ণ। যদি ভুলে তুলে থাকেন সেক্ষেত্রে বলার কিছু নেই।

এ ব্যাপারে এমপি সেলিনা আক্তার বানু জানান, তার গাড়িতে যে সব কর্মী ছিলেন তারাই ভুল করে লাগিয়েছিলেন। পরে সেটি খুলে ফেলা হয়েছে। তার অজান্তেই কর্মীরা পতাকা লাগিয়ে ছিলো বলেও দাবি করেন তিনি।