শৈলকূপার কুলচারা-গাবলায় মাইক্রোবাস কেড়ে নিলো প্রাণ পরীক্ষার ফল দেখা হলো না আঁখির

স্টাফ রিপোর্টার: পরীক্ষার ফলাফল জানতে স্কুলে যাচ্ছিলো উম্মে তাইবা ওরফে আঁখি। কিন্তু পরীক্ষার ফল আর দেখা হলো না তার। স্কুলের যাওয়ার পথেই মাইক্রোবাস কেড়ে নিয়েছে তার প্রাণ। গতকাল শনিবার সকালে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার কুলচারা-গাবলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ সময় এক মা ও তার শিশু সন্তানসহ আহত হয়েছেন ৩জন। তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার গাবলা গ্রামের বাসিন্দা উম্মে তাইবা আঁখি (১০) উপজেলা শহর এলাকায় একটি আধুনিক কিন্ডার গার্টেন স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার আঁখির স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল দেয়ার কথা। ফলাফল জানতে শনিবার সকাল ১০টার দিকে সে বাসা থেকে বের হয়। গাড়ির জন্য কুলচারা-গাবলা এলাকায় ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের এক পাশে আরও কয়েকজনের সাথে দাঁড়িয়েছিলো সে। এ সময় একটি মাইক্রোবাস সামনে থাকা একটি গাড়িকে পাশ কাটানোর সময় আঁখিসহ চারজনকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আঁখিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত দুজন হলেন, শ্যামলী খাতুন (৩০) ও তার ৮ বছরের মেয়ে সাফিয়া খাতুন। আরেকজনের নাম জানা যায়নি। বিকেলের দিকে আঁখির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শোকের মাতম। সন্তানকে হারিয়ে বাবা-মা পাগলপ্রায়। ৩ বোনের মধ্যে আঁখি ছিলো সবার ছোট। পরিবারের লোকজন জানান, ক্লাসে মোট ৩৮ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে পরীক্ষায় ১৭তম স্থান অধিকার করেছে আঁখি। কিন্তু এ ফলাফল সে জেনে যেতে পারলো না। শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, আঁখির লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালমর্গে রাখা হয়েছে। মাইক্রোবাস ও চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।