শৈলকুপায় আ.লীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষ : পুলিশসহ আহত ২০

 

 

ঝিনাইদহ অফিস: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বড়বাড়ি বগুড়া গ্রামে আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে মাগুরা সদর হাসপাতাল ও অন্যদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় রামদা,তরবারি,ঢাল-সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান,শৈলকুপা উপজেলার ১০নং বগুড়া ইউনিয়নে দীর্ঘদিন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম মাখন মিয়া ও বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে এ দু নেতার কর্মী-সমর্থকরা প্রায় ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়। রোববার সকালে নজরুল গ্রুপের নেতা আওয়াল ও মাখন গ্রুপের নেতা হবিবর মিয়ার নেতৃত্বে উভয় গ্রুপ আবারো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৩ পুলিশ ও মহিলাসহ ২০ জন আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে তিন পুলিশ আহত হয়। পরে পুলিশ ২৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।