শিশু সন্তানের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার অপচেষ্টা করেছে ক্ষুব্ধ মা

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে ননদকে টাকা দেয়ার স্বামীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে নিজ সন্তান শিমুলকে গলায় শাড়ি-কাপড় পেঁচিয়ে আড়ায় ঝুলিয়ে হত্যার অপচেষ্টা করেছে ক্ষুব্ধ এক মা। মা ও তার লোকজনেরবিরুদ্ধে অসুস্থ সন্তানকে হাসপাতাল থেকে চুরি করার অভিযোগ করেছেন শিশুর পিতা রিপন খাঁন। শিশু ছেলেটি তার ক্ষুব্ধ মায়ের কাছে নিরাপদ নয় বলে দাবি করে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের বামনপাড়া গ্রামের দেলওয়ার খাঁনের ছেলে রিপন খাঁন একজন ট্রাকহেলপার। তিনি ২০০৮ সালে মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ার গোলাম রহমানের মেয়ে জেসমিনকে বিয়ে করেন। সংসার জীবনে তাদের ঘরে আসে এক পুত্রসন্তান। নাম রাখা হয় শিমুল। শিমুলের বয়স এক সাড়ে ৩ বছর। ট্রাকের হেলপার হিসেবে রিপন সিলেট যান। তার বোন দিলারাকে বিকাশের মাধ্যমে কিছু টাকা পাঠান। এ কথা জানাজানি হলে স্ত্রী জেসমিন স্বামী রিপন খানের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং গত বুধবার রাত ১০ টার দিকে শিশু শিমুলকে হত্যার উদ্দেশে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দেয়। এখবর জানতে পেরে শিশুটির দাদা দেলওয়ার খাঁন ও পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে শিশুটি উদ্ধার করেন।রাতেই ওই শিশুকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুর দাদি হাসপাতালে তার কাছে ছিলো। এর মধ্যে স্ত্রী জেসমিন, তার মা জামেনা ও বোন রওশন আরা বামনপাড়া গ্রামে গিয়ে বাড়ি থেকে সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে আসে। এছাড়া বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে শিশু শিমুলকে হাসপাতাল থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। শিশুটি বর্তমানে তার মায়ের নিকট আছে বলে জানা যায়।

এদিকে মায়ের হেফাজতে শিশু শিমুল নিরাপদ নয় বলে দাবি করেন শিশুটির পিতা রিপন খাঁন। তিনি গতকাল রোববার মেহেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।