শিশুকন্যাকে হত্যার পর লাশ কলাপাতা ও খেজুরের পাতা দিয়ে পুকুরের পানিতে ঢেকে রাখা হয়

: প্রত্যক্ষদর্শী মদনের গা ঢাকা

ঘোলদাড়ি প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার হাড়োকান্দি গ্রামের স্কুলছাত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবিজানিয়েছে গ্রামবাসী। গ্রামের ভ্যানচালক মদনের সামনেই ঘটে স্কুলছাত্রী জান্নাতুল হত্যার ঘটনা। হত্যা ঘটনা দেখার পর থেকেই বারবার জ্ঞান হারায় মদন। স্কুলছাত্রী জান্নাতুল ওরফে ভুন্দির চাচাতো ভাই জাকির তাকে ধর্ষণের পরহত্যা করে পুকুরের এক কোণায় কলাপাতা ও খেজুরের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখে বলে গ্রামবাসীর মাঝে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। পুলিশ পড়েছে ধন্ধে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার হাড়োকান্দি গ্রামের দরিদ্র কৃষক আবুল কাশেমের মেয়ে স্থানীয় স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল ওরফে ভুন্দিকে (১০) তার চাচাতো ভাই একই গ্রামের উসমানের ছেলে জাকির(২০) হত্যা করেছে বলে গ্রামে ব্যাপক গুঞ্জন উঠেছে। গ্রামবাসী জানায়, একই গ্রামের সন্ন্যাসীর ছেলে ভ্যানচালক মদনের(২৫) সামনে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। সে ঘটনাটি দেখলেও কাউকে কিছু না বলে চুপচাপ থাকে। পুকুর থেকে লাশ উদ্ধারের পর থেকে সে বারবার জ্ঞান হারাতে থাকে। সে গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তির কাছে জানালে আসল রহস্য বেরিয়ে আসে। গ্রামে শুরু হয় গুঞ্জন। প্রত্যক্ষদর্শী মদনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে গ্রামবাসী আরো জানায়পুকুরের এক কোণায় কলাপাতা ও খেজুর পাতা দিয়ে লাশ ঢেকে রেখেছিলো জাকির। পুকুরপাড়ে নিহত ভুন্দির স্যান্ডেল দুটি পরিপাটি করে সাজানো ছিলো। লাশ ধোয়ানোর সময় কয়েকজন মহিলা গলায় দাগ ও সামনের দাঁত ভাঙা দেখতে পান বলে জানান। গত রোববার ভোর ৬টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভুন্দি তাল কুড়োতে যায়।তালতলায় একা পেয়ে ভুন্দিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে কলা ও খেজুর পাতা দিয়ে ঢেকে রাখে জাকির।এ অভিযোগ গ্রামবাসীর। লাশ উদ্ধারের পর থেকে গ্রামে একটি মহল প্রচার করতে থাকে ভোরে তালগাছ তলায় তাল কুড়োনোর সময় জিনের সামনে পড়লে তাকে জিনেই হত্যা করে। মহলটি হত্যা ঘটনা আড়াল করে মিথ্যা কল্পকাহিনি তৈরি করে। গ্রামের সচেতনমহল এ কথা মানতে নারাজ। স্কুলছাত্রী জান্নাতুল ওরফে ভুন্দি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলো না। পানিতে ডুবে সে মরতে পারেনা, সে সাঁতার জানতো। জিনে হত্যা করেছে এমন দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে গ্রামবাসী পুলিশি তদন্তের জোর দাবি তুলেছে এবং লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার ভোর ৬টার দিকে আলমডাঙ্গার হাড়োকান্দি গ্রামের স্কুলছাত্রী শিশুজান্নাতুল ওরফে ভুন্দি রহস্যজনক নিখোঁজ হয়। পরদিন সোমবার সকালে গ্রামের পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকজন দাবি করেন, জিনে তাকে হত্যা করেছে। পরিবারের লোকজনের কোনো প্রকার অভিযোগ না থাকায় ও প্রভাবশালীদের চাপের মুখে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়। এ ঘটনায় বিরূপ সমালোচনার মুখে পড়েছে পুলিশ।