শিশুকন্যাকে হত্যার পর ছেলেকে মারার সময় ধরা পড়লো মা

স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে পৃথক সংসার : প্রথম স্ত্রী রাফেজা হলেন পাষাণী

 

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: অশান্তির সংসারে বিষিয়ে ওঠা রাফেজা বেগম তার আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে হত্যার পর ৮ বছরের ছেলেকে হত্যার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে। গতপরশু রাতে ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরের সলেমনপুর গ্রামে নৃশংস এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, আড়াই বছরের শিশুকন্যা সুমাইয়াকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর লাশ  কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে ঘুমিয়ে থাকা ৮ বছর বয়সী ছেলেকে হত্যা অপচেষ্টা চালায়। ছেলের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে রাফেজাকে আটক করে। রক্ষা পায় ছেলে। পরে রাফেজাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শিশু সুমাইয়ার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তার পিতার ব্যবস্থাপনায় গতকাল দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।

জানা গেছে, রাফেজা বেগমের (৩৬) ছিলো সাজানো সংসার। তার সংসারে আসে এক ছেলে এক মেয়ে। স্বামী জয়নাল দ্বিতীয় বিয়ে করে কোটচাঁদপুরের গাবতলায় বসবাস শুরু করে। রাফেজা বেগম তার শিশু ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে সলেমানপুরেই থাকতো। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করলে রাফেজার সংসারে শুধু আশান্তির আগুনই জ্বলেনি, অভাবও দেখা দেয়। বিষিয়ে ওঠে রাফেজা। আত্মহত্যার পথে তার দু সন্তানই হয়ে দাঁড়ায় বাধা। স্থানীয়দের অনেকেই এরকমই মন্তব্য করে বলেছে, রাফেজা গতপরশু রাতে প্রথমে মেয়েকে, পরে ছেলেকে হত্যা করে নিজেও কী আত্মহত্যা করতো?

রাফেজা খাতুনকে স্থানীয়রা ধরে পুলিশে দিলেও রাফেজা এ বিষয়ে মুখ খোলেনি। অপলোক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকেছেন তিনি। তার স্বামী বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। কোটচাঁদপুর পৌরসভার সলেমানপুর এলাকার মাংসব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন বলেছেন, প্রথম স্ত্রী রাফেজার সাথে বনিবনা না হওয়ায় দ্বিতীয় বিয়ে করি। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে কোটচাঁদপুর গাবতলাপাড়ায় বসবাস করে আসছি। প্রথম স্ত্রী যে মেয়েকে ওভাবে হত্যা করবে তা ভাবিনি।

মাংসবিক্রেতা জয়নালের দ্বিতীয় বিয়ে এবং প্রথম স্ত্রী সন্তানকে অবহেলার মধ্যে ফেলে রাখার জন্য অনেকে তাকেও বিচারের আওতায় নেয়ার দাবি জানিয়েছে।