শিপনের কানধরে ঘোরানোসহ ১০ ঘা বেত্রাঘাত

চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহে স্কুলছাত্রীকে ভ্যান থেকে নামিয়ে নেয়ার অভিযোগে সালিস

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: স্কুলে যাওয়ার পথে প্রকাশ্য দিবালোকে স্কুলছাত্রীকে ভ্যান থেকে নামিয়ে নেয়া, ভ্যানচালক ও ছাত্রীর পিতাকে মারধর করার অপরাধে অভিযুক্ত খেজুরা গ্রামের ওসমানের ছেলে শিপনকে সালিসের মাধ্যমে মেয়ের পিতার পা ধরে ও ভ্যানচালকের হাত ধরে ক্ষমা চাওয়া, ১০ ঘা বেত্রাঘাত, স্কুল ছাত্রীকে বিরক্ত করবে না মর্মে মুচলেকা ও কান ধরে স্কুল মাঠ ঘোরানো হয়। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় ডিঙ্গেদহ স্কুলমাঠে এ সালিসের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
এ ব্যাপারে ডিঙ্গেদহ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফউদ্দিন বলেন, গত ১০ আগস্ট বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী কুশোডাঙ্গা গ্রামের মেয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে খেজুরা ব্রিজের নিকট পৌঁছুলে অভিযুক্ত শিপন স্কুলছাত্রীর ভ্যানের গতিরোধ করে। ভ্যান থেকে নামিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্কুলছাত্রীর পিতা ও ভ্যানচালক বাধা দিলে তাদেরকে লাঠি দিয়ে মেয়ে আহত করলে মেয়ের পিতা বিদ্যালয়ে এসে ঘটনার বর্ণনা দেন। ওই দিনেই বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট শিপনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে শিপন গা ঢাকা দেয়। দীর্ঘদিন গাঢাকা দিয়ে থাকার পর গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যালয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধি, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সালিস বৈঠক বসে। সালিসে অভিযুক্ত শিপনকে স্কুলছাত্রীর পিতার পা ধরে ও ভ্যান চালককে হাত ধরে ক্ষমা চাওয়া, ১০ ঘা বেত্রাঘাত, স্কুলছাত্রীকে আর কোনোদিন উত্ত্যক্ত করবে না মর্মে মুচলেকা ও কান ধরে বিদ্যালয়ের মাঠে ঘোরানোর সিদ্ধান্ত হয় এবং সাথে সাথে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শঙ্করচন্দ্র ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আলী, ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তাহাজুদ্দিন, মাসুদ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফ উদ্দিনসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।