শান্তিরক্ষায় দ্রুত সাড়া দেবে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি পরীক্ষিত ও আত্মবিশ্বাসী দেশ। শান্তিরক্ষার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের যেকোনো জরুরি আহ্বানে বাংলাদেশ দ্রুত সাড়া দেবে। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ এই উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের সহআয়োজক। এদিকে আজ শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের বাইরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিজেপি নেতা মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দু দেশের শীর্ষ নেতার মধ্যে এটাই প্রথম বৈঠক। নিউইয়র্ক সময় দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদারে তাদের আগ্রহ দেখিয়েছে। যদিও দু দেশের মধ্যে ঝুলে থাকা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর ও স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়নে তেমন কোনো অগ্রগতি এখনো হয়নি। অন্যদিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিদে আজই ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর সাথে বৈঠকের আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বরাবরের মতো এবারও বাংলাতেই ভাষণ দেবেন তিনি।

অপরদিকে পৃথক আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের সাথে নতুন বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় তিনি মার্কিন ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ২০০১ সালে যখন আমরা ক্ষমতা ছেড়ে যাই, তখন মার্কিন বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে বেসরকারি বিদেশি বিনিয়োগের অগ্রপথিক এইএস’র মতো কোম্পানিকে সরকার সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। তারা হরিপুর ও মেঘনা ঘাটে বিদ্যুত প্রকল্প স্থাপন শুরু করে এবং বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, সাত বছর পর ২০০৯ সালে আমার সরকার আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে তখন বাংলাদেশের মার্কিন বিনিয়োগের পরিমাণ ৪ কোটি ডলারে নেমে আসে। গত পাঁচ বছরে তার সরকার বাংলাদেশে সরাসরি মার্কিন বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সম্ভাব্য সব পথ কাজে লাগিয়েছে।