শপথ নিলেন দশম সংসদের এমপিরা

স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচন অনুষ্ঠানের চার দিনের মধ্যে শপথ নিয়েছেন দশম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্যগণ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে এ শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদ (তৃতীয় তফসিলের ৫ অনুচ্ছেদ) এবং জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ৫ বিধি মোতাবেক নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রথম পর্যায়ে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে শপথ নেন নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যগণ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। দ্বিতীয় পর্যায়ে বেলা সোয়া ১১টার দিকে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাপার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যগণ শপথ গ্রহণ করেন। সব শেষে শপথ নেন জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, বিএনএফ এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যগণ। তবে ২৮৯ জনের শপথ নেয়ার কথা থাকলেও ৫ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নেননি। তারা হলেন- জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে আওয়ামী লীগের নাজমুল হাসান পাপন, ঢাকা-৯ আসনের সাবের হোসেন চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাপার নাসিম ওসমান ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে জাসদের মঈনুদ্দিন খান বাদল। অবশ্য এইচএম এরশাদ টানা ২৭ দিন ধরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিত্সাধীন রয়েছেন। আজ শুক্রবার এরশাদ শপথ নিবেন বলে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

শপথ অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে সকল সংসদ সদস্য শপথপত্রে নিজেদের আসনের নাম লিখে স্বাক্ষর করেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আশরাফুল মকবুল।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যগণের শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আগের দিন দুপুরে। এর আগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত এমপিদের নামে গেজেট প্রকাশ করে। সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব সকল সংসদ সদস্যের কাছে শপথ গ্রহণের জন্য চিঠি পাঠান। চিঠিতে সকাল ১০টায় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে তাদের উপস্থিত হয়ে এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। শপথ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গতকাল সংসদ ভবন এলাকায় নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। সকাল ৮টার আগেই শপথ কক্ষ ও আশপাশের এলাকা ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সংসদ ভবন এলাকায় এক উত্সবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।