লোকবল সঙ্কট মধ্যদিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিস

খাইরুজ্জামান সেতু/উজ্জ্বল মাসুদ: লোকবল সঙ্কট মধ্যদিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিস। ১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে রয়েছেন মাত্র ৫ জন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর পরই জেলা শিক্ষা অফিস প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার শুরুতে লোকবল সংকট না থাকলেও ২০১০ সালের পর থেকে দেখা দেয় লোকবল সংকট। তীব্রতর হয়ে ওঠে গত ৩/৪ মাস। বর্তমানে ১৬টি পদের বিপরীতে শূন্যপদ রয়েছে ১১টি পদ। আর এর কারণেই একজনকে একাধিক কাজ করতে হয়। শূন্যপদগুলো হলো জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ১ জন, গবেষণা কর্মকর্তা ১ জন সহকারী পরিদর্শক ৪টি পদই শূন্য, ক্যাশিয়ার কাম স্টোর কিপার ১ জন, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর ২ জন, এমএলএসএস ৩টি পদের জায়গায় আছে ১ জন অর্থ্যাৎ দুজন নেই।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসের প্রধান সহকারী মিকাইল হোসেন জানান, একজন কাজে ব্যস্ত থাকলে অন্য কাজের জন্য লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। আমি একা মানুষ যে কাজের চাপ থাকে তাতে আমি যদি উঠে কাজ করতে যায় তাহলে কাজের ব্যাঘাত ঘটে।এতে যেমন শিক্ষা ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ঠিক তেমনি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দাপ্তরিক কাজসহ অন্যান্য কাজও।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা শিক্ষা অফিসার খোন্দকার রুহুল আমীন জানালেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার পদশূন্য রয়েছে ২০১০ সাল থেকে। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত সহকারী শিক্ষ অফিসার পদটি রয়েছে শূন্য। আমি ছুটি বা সরকারি কাজে বাইরে গেলে অফিসের দায়িত্বে দিয়ে যাওয়ার মতো কাউকে পাইনে। আমি একাধিকবার মৌখিক বা লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানালেও কোনো কাজ হচ্ছে না। তবে বাংলাদেশের সব জায়গাতেই শিক্ষা অফিসে লোকবল সংকট রয়েছে। আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খুব শিগগিরই এর ব্যবস্থা নেবে।