লোকনাথপুরে নিহত করিমনযাত্রী বৃদ্ধার পরিচয় পাওয়া গেছে

 

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার লোকনাথপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত করিমনযাত্রী বৃদ্ধ মহিলার পরিচয় পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার সকালে তার পরিবারের লোকজন জেলার আঞ্জুমান মফিদুলে গিয়ে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে লাশ শনাক্ত করেন। নিহত বৃদ্ধ মহিলা দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের নতুন বাস্তপুর গ্রামের আবু বক্কর ওরফে বাক্কার স্ত্রী আশুরা খাতুন। নিহতের ছেলে আশকার জানান, শুক্রবার উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামে আমার খালু মারা যায়। মা ওই মরা দেখতে বাড়িতে যাচ্ছিলো। আমার ছোট ভাই জহুরুল মোটরসাইকেলযোগে বাস্তপুর থেকে লোকনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে আসে। মা লোকনাথপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে করিমনে ওঠে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দামুড়–হুদা-দর্শনা সড়কের লোকনাথপুর বাসস্ট্যান্ডের অদূরে পাগলা দোয়ার সামনে করিমনের চাকায় পরনের শাড়ি জড়িয়ে পিচরোডে ছিটকে পড়ে এক বৃদ্ধ মহিলার মৃত্যু হয়। দামুড়হুদা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়। দুদিন পেরিয়ে গেলেও লাশের পরিচয় না মেলায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আবু জাহের ভূইয়া গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালমর্গে পাঠান এবং ময়নাতদন্ত শেষে চুয়াডাঙ্গা পৌরমেয়রের নিকট লাশ হস্তান্তর করেন। পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন নিহতের লাশ বিকেলে আঞ্জুমান মফিদুলে দাফন করেন।

এদিকে ঘটনার তিনদিন পর লাশের পরিচয় পাওয়ার পর এলাকার মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। সাধারণ জনগণ মন্তব্য করে বলেছেন, দামুড়হুদা থানা সদর থেকে মাত্র দুকিলোমিটার অদূরে নতুন বাস্তপুর গ্রাম। ওই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ প্রতিদিন থানার সামনে দিয়ে আসা যাওয়া করে। অথচ কেউ একটি বারের জন্য উঁকি মেরেও দেখলো না যে লাশটি কার। এছাড়া গ্রামের মানুষের স্থানীয় মাথাভাঙ্গা পত্রিকা পড়ারও তাগিদ দেন এবং পত্রিকায় ছবি ছাপা না হওয়ায় স্থানীয় প্রতিনিধির কাছে নানা কৈফিয়তও চান তারা।