লেখাপড়ার জন্য বয়স কোনো বাধা নয় : প্রমাণ করলেন শিক্ষক রইচ উদ্দিন

 

স্টাফ রিপোর্টার: লেখাপড়ার জন্য বয়স যেকোনো বাধা নয়, তা আবারও প্রমাণ করলেন মো. রইচ উদ্দিন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলপালা গ্রামের প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক রইচউদ্দিন এসএসসি পরীক্ষার ৪০ বছর পর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪ দশমিক ৬ পয়েন্ট পেয়ে পাস করে চমক সৃষ্টি করেছেন। আর একারণে দেশব্যাপি তিনি ব্যাপক পরিচিতি পেয়ে প্রতিদিনই তার বাড়িতে গণমাধ্যম কর্মিসহ অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন।

রইচ উদ্দিন জানান, ১৯৭৪ সালে এসএসসি পাসের পর চুয়াডাঙ্গা কলেজে ভর্তি হলেও নানা পারিপার্শকতার কারণে আর পড়াশোনা করা হয়নি তার। তবে১৯৭৮ সালে চাকরির পর ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষাবর্ষে পিটিআইতে সিইনএড পরীক্ষায় প্রথমস্থানসহ শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় সহকর্মীসহ শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শে এবছর প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নেন। বর্তমানে তার বয়স ৫৬ বছর। তিনি দু ছেলের বাবা এবং তার দুটি নাতি ছেলে রয়েছে। তার একটি ব্যক্তিগত বইয়ের সংগ্রহশালা রয়েছে।

পিতার কৃতিত্বে বড় ছেলে হাসান শাহরিয়ার বলেন, বাবার কারণে সারাদেশের মানুষের কাছে আমি নতুন রূপে পরিচিতি পেয়েছি। কুলপালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাকসুদা মালিক জানান, সহকর্মী হিসেবে রইচ উদ্দিন খুবই সৃষ্টিশীল মানুষ। তার এ সাফল্যে আমরা খুশি।                বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আখতার হোসেন জানান, মেধাবী হিসেবেই তাকে স্কুলে নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো। চাকরি জীবনে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।    আলমডাঙ্গা চিতলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান রইচ উদ্দিনে সাফল্যে খুশি। তিনি বলেন,শিগগিরই তাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।