লতিফ মন্ত্রিসভায় থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: সরকারের কাছে ‘অবিবেচকের মতো’ কথা গ্রহণযোগ্য হবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রীসভায় থাকবেন না। হজ নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্যে তোলপাড়ের মধ্যেই শুক্রবার বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেটা আমি বলেছি সেটা করবোই। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাকে মন্ত্রিসভায় রাখবো না। সে থাকবে না।’
কবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন মন্ত্রীকে বিদায় দিতে হলে ‘কিছু নিয়ম’ মানতে হবে। ‘আমি নির্দেশ দিলে রিজাইন (পদত্যাগ) করতে হবে। নইলে বিদায় করে দিতে হবে। কিন্তু বিদায় দিতে হলে রাষ্ট্রপতির কাছে ফাইল পাঠাতে হবে। রাষ্ট্রপতি হজে গেছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিবও হজে গেছেন। আমি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ফাইল তৈরি করে রাখতে বলেছি, অফিস খুললে ফাইল চলে আসবে।’ রাষ্ট্রপতি ফিরলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব তার কাছে ফাইল নিয়ে যাবেন এবং তাতে রাষ্ট্রপতি সই করলেই লতিফের ‘বিদায়’ হবে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকীর ওই বক্তব্য নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্ব চালিয়ে আসা এই আওয়ামী লীগ নেতা সেদিন বলেন, ‘আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী।’ এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ হজে যাওয়ায় দেশের অর্থ আর শ্রম শক্তির ‘অপচয়’ হয়। উৎপাদনে প্রভাব পড়ে। এরপর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে লতিফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় অন্তত দু ডজন মামলা হয়। বিএনপি এবং কয়েকটি ইসলামী সংগঠন তাকে গ্রেফতারেরও দাবি জানায়। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী লতিফকে মন্ত্রিসভা ও দল থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুও একই কথা বলেন। তারপরও সরকার প্রধানের সিদ্ধান্ত তার মুখ থেকেই জানতে সংবাদ সম্মেলনে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে ছিলো লতিফ প্রসঙ্গ।