রোগী সেজে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চুরির সময় পাকড়াও

এক ঘণ্টার ব্যবধানে ওস্তাদ-শিস্যের রোগী সাজার নাটক : সুযোগ বুঝে চুরি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগী সেজে ভর্তি হয়ে চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে বাবলু। সে ধরা পড়ার পর তার ওস্তাদকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। গতপরশু রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে এরা ধরা পড়ে।

পুলিশ বলেছে, বাবলুর ওস্তাদ চুয়াডাঙ্গা কলোনির আজগারও রোগী সেজে গতপরশু রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুজনই এক বিছানায় শুয়ে সুযোগ বুঝে রোগীর মোবাইলফোন চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে বাবলু। সে পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছে, তার বাড়ি আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়ায়। পিতার নাম মনোরুদ্দিন।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী, রোগীর লোকজনের টাকা ও মূল্যবান মালামাল চুরি হয়। ওষুধপথ্যও চুরি করতে ছাড়ে না চোরের দল। গতপরশু রাত আড়াইটার দিকে হাসপাতালের মেডিসিন মেল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগী সানোয়ার হোসেনের বালিশের পাশে রাখা একটি মোবাইলফোন চুরির সময় রোগীর লোকজন হাতেনাতে আটক করে বাবলুকে। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী বলে দাবি করে। পুলিশ খতিয়ে দেখে সে ওই রাত ৭টার দিকে তিন দিন ধরে খেতে পারছে না বলে জানিয়ে ভর্তি হয়েছে। এর এক ঘণ্টা আগে ভর্তি হয় কলোনিপাড়ার গোলাম মোহাম্মদের ছেলে আজগার। দুজন রাতে একই বিছানায় শুয়ে থাকে। সুযোগ খুঁজতে থাকে। সুযোগ বুঝে মোবাইলফোন চুরির সময় বাবলু ধরা পড়লে তার ওস্তাদ আজগারেরও হদিস মেলে। দুজনকেই গ্রেফতার করে ওই রাতেই সদর থানায় নেয়া হয়।

পুলিশ বলেছে, চোরচক্র কতোটা চালাক না হলে হাসপাতালে রোগী সেজে ভর্তি হতে পেরেছে। তা ছাড়া ভর্তি হওয়ার মতো রোগী না হলেও কেন তাদেরকে ভর্তি করা হয়েছে সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। যেহেতু হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চোরের উপদ্রব বেড়েছে সেহেতু সকলকেই সজাগ হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য অনেকের।