রেহানা বেগম গ্রাম ছাড়লেও আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না

স্বামীর হত্যা মামলা দায়েরের পর অব্যাহত হুমকির মুখে

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আদালতে স্বামীর হত্যা মামলার পর অব্যাহত হুমকির মুখে বাদী রেহানা বেগম গ্রাম ছেড়ে কুষ্টিয়া শহরে অবস্থান নিলেও আতঙ্ক তার পিছু ছাড়ছে না। আজ সোমবার মৃতের চল্লিশার দিনে আসামিপক্ষ মামলাকে কেন্দ্র করে গ্রামে মিটিং আহ্বান করায় পরিবারটি এখন আরও বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। মৃত্যুর ঘটনায় গত ১৬ জুলাই প্রথমে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত মামলা দায়ের করা হলেও গত ২৬ জুলাই আলমডাঙ্গার ওসমানপুর গ্রামের  আসাদুজ্জামানকে অপহরণ শেষে হত্যার অভিযোগে আদালতে ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার বাদী রেহানা বেগম জানান, গত ১৬ জুলাই রাতে আসাদুজ্জামানকে গ্রামের কিছু লোক ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠে নিয়ে বিষ জাতীয় কিছু খাওয়াইয়ে দেন। রাত ২টার দিকে আসাদুজ্জামান বাড়ি এসে জানান, আসামিরা তাকে জোরপূর্বক কিছু খাইয়ে দিয়েছেন। এতে সে ক্রমেই নিস্তেজ হয়ে পড়লে ওই রাতেই তাকে হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছুলে ডাক্তার আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন। রেহানা বেগম আরও জানান, আদালতে ওসমানপুর গ্রামের তপুর ছেলে কামরুল, একই গ্রামের দাউদ গাইনের ছেলে সলেমান ও মফে ফারাজীর ছেলে জাকারিয়াসহ ৭ জনের নামে মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা তার বাড়িতে এসে অব্যাহতভাবে হুমকি দিচ্ছেন। হুমকির কারণে ছোট ছোট ৩ ছেলে-মেয়ে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরে থাকতে হচ্ছে। যে কারণে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে, আজ সোমবার মৃত আসাদুজ্জামানের চল্লিশার দিনে রেহানা বেগম গতকাল কুষ্টিয়া থেকে বাড়িতে আসেন। গতকাল দুপুরের দিকে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মহিলা খাতুন বাদী রেহানা বেগমকে মিটিংয়ের কথা জানিয়ে উপস্থিত হওয়ার কথা বলে আসেন। এতে তিনি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই জিয়াউল হক জানান, আসাদুজ্জামানের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথমে অপমৃত মামলা দায়ের হয়। তার লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। আর আসামিদের মিটিং ডাকার ঘটনা তিনি জানেন না বলে জানান।