রুপাসহ র‌্যাবের হাতে আটককৃত হাজতি জাহিদুলের পরিবারের কাছে প্রতারণা

অসুস্থতার কথা বলে জেলার ও চিকিৎসক পরিচয়ে নিলো সাড়ে ৪৫ হাজার টাকা
দর্শনা অফিস: গত ১১ জানুয়ারি প্রায় ৮ কেজি রুপাসহ ঝিনাইদহ র‌্যাবের হাতে আটক হয় দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুরের আ. রহমানের ছেলে কেরুজ নিরাপত্তা সদস্য জাহিদুল ইসলামসহ ৩ জন। ১২ জানুয়ারি আটককৃতদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন র‌্যাব। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই আনিসুজ্জামান জাহিদুলসহ ৩ জনকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ৩ জনকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ফলে ১২ জানুয়ারি থেকে ঝিনাইদহ জেলহাজতে রয়েছে আটককৃতরা। এ দিকে গতকাল সোমবার বিকেলে ০১৭৯১-৪৪৬৯৮৪ মোবাইল নাম্বার থেকে নিজেকে ঝিনাইদহ জেলখানার জেলার পরিচয় দিয়ে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি সদস্য খায়রুল বাসারের কাছে ফোন দেয়। এসময় খায়রুল ব্যস্ত আছেন বলে জানালে পরক্ষনই ০১৭২২-৫২৮৯৪৪ নাম্বার থেকে ইউনিয়নের চৌকিদার আলকাসের কাছে ফোন করে নাম্বার দুটো জাহিদুলের পরিবারের সদস্যদের কাছে দিয়ে জরুরিভাবে কল করার অনুরোধ করা হয়। সে মোতাবেক নাম্বার দুটোতে কল করেন জাহিদুলের দুলাভাই সড়াবাড়িয়ার ই¯্রাফিল। ইস্রাফিল কল করলে নিজেকে ঝিনাইদহ জেলখানার জেলার পরিচয় দিয়ে জানানো হয় জাহিদুল হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে মারাত্মক অবস্থায় ফরিদপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। জরুরিভাবে তার অস্ত্রপচারের জন্য ১ লাখ টাকা প্রয়োজন। জেল কর্তৃপক্ষ ৪০ হাজার টাকা দেবে, বাকি ৬০ হাজার টাকা এখনই দিতে হবে। পরক্ষণেই ০১৭২২-৫২৮৯৪৪ নাম্বার থেকে কল করে নিজেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম পরিচয়ে ইস্রাফিলকে বলা হয়, জরুরিভাবে ৬০ হাজার টাকা না দিলে জাহিদুলকে বাঁচানো সম্ভব না। সেই সাথে টাকা দেয়ার জন্য দুটি বিকাশ নাম্বার দেয়া হয় ইস্রাফিলকে। নাম্বার দুটি যথাক্রমে ০১৭৯৪-০৩২৯৪৩ ও ০১৭৯১-৪৪৬৯৮১। নাম্বার দেয়ার সাথে সাথে ইস্রাফিল মদনা বাজারের মানিক টেলিকমে গিয়ে ৫টি নাম্বার থেকে ৪৫ হাজার ৪শ’ টাকা বিকাশ করে পাঠায়। কিছুক্ষণ পর ফের ওই নাম্বারগুলোতে কল দেয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়। বারবার চেষ্টা করেও মোবাইল খোলা না পেয়ে ঝিনাইদহ গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে তারা প্রতারকের ফাঁদে পড়ে খোয়ালো সাড়ে ৪৫ হাজার টাকা।