রিজভী তিনদিনের রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার: ভাঙচুর, হত্যাচেষ্টা ও পেট্রলবোমা মেরে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। রাজধানীর গুলশানের পার্ক রোডের একটি বাসা থেকে শুক্রবার রাত পৌনে ৩টার দিকে ৱ্যাব সদস্যদের হাতে আটক হন রিজভী।

গত ২৬ জানুয়ারির অনাবিল পরিবহনের ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৩৫৩৩ নম্বরের একটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় বাড্ডা থানার একটি মামলায় রিজভীকে গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল রোববার আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই মোশাররফ হোসেন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন রিমান্ড চান। আবেদনে বলা হয়, আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পত্রিকাসহ টেলিভিশনে নাশকতামূলক, ধ্বংসাত্মক বক্তব্য দিয়ে তিনি নাশকতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তিনি দুষ্কৃতকারীদের অর্থের জোগানদাতা। তার প্রত্যক্ষ মদদে ও উস্কানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দুষ্কৃতকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, যানবাহন ভাংচুরসহ আগুন দিয়ে নিরীহ জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন করে। এ মামলার পলাতক আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের গ্রেফতার, অর্থের উৎস, অবৈধ পেট্রলবোমা ও ককটেল উদ্ধারের লক্ষ্যে আসামিকে রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।

আদালতে রিজভীর রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন মহানগর পিপি আবদুল্লাহ আবু, অতিরিক্ত পিপি শাহআলম তালুকদার। অন্যদিকে রিজভীর রিমান্ড বাতিল করে জামিন আবেদনের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মোহসীন মিয়া, মোসলেহ উদ্দিন জসিম প্রমুখ।

শুনানি শেষে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আলমগীর কবির রাজ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গাজীপুর থেকে যাত্রাবাড়ী সাইনবোর্ডগামী অনাবিল পরিবহনের একটি বাস ২৬ জানুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে বাড্ডা থানাধীন প্রাণ আরএফএলের প্রধান কার্যালয়ের বিপরীতে রাস্তার পূর্ব পাশে অ্যাপেক্স শোরুমের সামনে আসলে অজ্ঞাতনামা ৫০-৫৫ দুষ্কৃতকারী গতিরোধ করে থামিয়ে দেয়। তারা বাসটিতে ভাংচুর চালায়। পেছনের সিটে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় গাড়ির সুপারভাইজার জমির উদ্দিন বাদী হয়ে দণ্ডবিধি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ কাইয়ুমসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৫৫ জনকে আসামি করা হয়।

এ মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এমকে আনোয়ার, মেজর জেনারেল (অব.) মাহাবুবুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, শিমুল বিশ্বাস, মারুফ কামাল খান সোহেল, গাজী রুহুল আমিন, শওকত মাহমুদ মিজান, শিরিন সুলতানা, শ্যামা ওবায়েদ ও শাইরুল কবিরকে এ ঘটনার প্ররোচনাদাতা, উস্কানিদাতা হিসেবে আসামি করা হয়। প্রসঙ্গত, ৱ্যাবের হাতে আটক হওয়ার আগে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন রিজভী। অজ্ঞাত স্থান থেকেই তিনি ইমেলে গণমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই বিবৃতি পাঠাচ্ছিলেন।