রাত পোয়ালেই চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : কে বসছেন মসনদে খলিল অমল না ধুন্দু

 

জীবননগর ব্যুরো: রাত পোয়ালেই জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে ইতোমধ্যে ভোটের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা জুড়ে ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টারে। ভোট সুষ্ঠুভাবে গ্রহণে উপজেলা প্রশাসন সকল প্রকার প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। বেশ কিছু কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ভোট কারচুপিসহ ভোটের দিন ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারবাহিনী কর্তৃক ভোটকেন্দ্র দখল করে জাল ভোট আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বিরোধীদলের প্রার্থীদের পক্ষে।

চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনে কে বসছেন জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যানের মসনদে। তা নিয়ে শুরু হয়েছে উপজেলাবাসীর মধ্যে জল্পনা-কল্পনা। জামায়াত নেতা খলিল, আওয়ামী লীগ নেতা অমল নাকি বিএনপি নেতা ধুন্দু। তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। রাত পোয়ালেই ভোটাররা নির্বাচিত করবেন এদের একজনকে। সহকারী রিটার্নিং অফিসার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজেদুর রহমান জানান, ভোট সুষ্ঠুভাবে গ্রহণে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা ১টি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে ৫৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ ভোটের দিন নিয়োজিত থাকবেন ম্যাজিস্ট্রেট। জীবননগর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবু মো. আ. লতিফ অমল (আনারস), জামায়াত সমর্থিত অধ্যাপক খলিলুর রহমান (মোটরসাইকেল), বিএনপি সমর্থিত হাজি সাইদুর রহমান ধুন্দু (দোয়াত-কলম) ও বিএনপির অপরাংশ সমর্থিত ফারহানা আক্তার রিনি (কাপ-পিরিচ)। দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি প্রার্থীর পরাজয়ের পর জীবননগর উপজেলা বিএনপি তাদের প্রার্থী সাইদুর রহমান ধুন্দুকে নির্বাচিত করার লক্ষ্যে জোর প্রচেষ্টায় মেতেছেন। কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা মাহামুদ হাসান খান বাবুসহ নেতৃবৃন্দের বিরাহীম গণসংযোগ নির্বাচনী অঙ্ক অনেকটাই গোলমেলে করে তুলেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা আশাবাদী হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকায় তারাও জয়ের হাসি হাসবেন বলে আত্মবিশ্বাসী। অপরদিকে জামায়াতের ঘাটি বলে দাবি তুলে জামায়াতের নেতাকর্মীরাও তাদের বিজয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনার প্রহর গুণছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত হাফিজুর রহমান (উড়োজাহাজ), বিএনপি সমর্থিত আরিফুজ্জামান আরিফ (টিউবওয়েল), জামায়াত সমর্থিত মাও. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন (চশমা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আলম (তালা-চাবি)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত আয়েশা সুলতানা লাকি (কলস), বিএনপি সমর্থিত পেয়ারা বেগম (হাঁস), জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত সামসুন্নাহার মুক্তা (ফুটবল) ও বিএনপি কর্মী মাহফুজা পারভীন বিউটি (প্রজাপতি)।