রাজনীতির টুকরো খবর

কী সাজা হবে সেটি আদালতের বিষয় : ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার কি সাজা হবে সেটা আদালতের এখতিয়ার। সাক্ষ্য প্রমাণ ও তথ্যের ভিত্তিতে আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবে সেখানে সরকারের কোনো হাত নেই। বর্তমান সরকারের আমলে আদালত স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করছে। সেখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। যদি আদালত স্বাধীন না হতো তাহলে খুনের মামলায় আওয়ামী লীগের এমপি, সরকারের অনেক মন্ত্রী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কারাগারে থাকতো না। গতকাল শনিবার দুপুরে সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে হেমায়েতপুর-মানিকগঞ্জ সড়কের উন্নয়নকাজের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি আদালতকেও হুমকি দিচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আদালতের রায় না মেনে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধেই আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। আদালতের বিরুদ্ধে যারা হুমকি দিতে পারে, আমরা মনে করি তাদের হাতে দেশ-গণতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থা কোনোটাই নিরাপদ নয়।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব, তেতুলঝোঁড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর ও সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

উল্লেখ্য, হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ সড়কটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩২ কিলোমিটার সড়কটির ড্রেন নির্মাণ, প্রশস্তকরণসহ যাবতীয় কাজ আগামী বছরের জুন নাগাদ শেষ হবে।

যেনতেন রায় মানুষ মেনে নেবে না : ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার: বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে জাগিয়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অতো সোজা না। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেনতেন রায় দেবেন? মানুষ তা মেনে নেবে? না। তারা পথে নেমে আসবে। সঠিক বিচার হতে হবে, ন্যায়বিচার হতে হবে। অন্যথায় জনগণ প্রস্তুত আছে। দলের নেতাকর্মীদের বলবো আপনারা প্রস্তুত হোন। জনগণকে প্রস্তুত করুন। আমাদের ওপর চেপে বসা এই দানবকে সরাতে হবে। কোনোদিন বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়, স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদকে বরদাশত করেনি। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের পরাজিত করেছে। আসুন আমরা সবাই জেগে উঠি, মানুষকে জাগাই।

গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলীর মুক্তি দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নজিরবিহীনভাবে তাড়াহুড়ো করে মামলা শেষ করা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, শেষ দিনে আইনজীবীরা আরো কথা বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাদের কথা বলার কোনো সুযোগ না দিয়ে বক্তব্য শেষ করা হয়েছে এবং মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এই জোর করা? আইনের স্বাভাবিক যে গতি তা বন্ধ করে দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কেন এই রায় দেওয়ার চেষ্টা? কারণ একটাই বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

সরকার সুপরিকল্পিতভাবে বিচার বিভাগকে ‘করায়ত্ত করেছে’ অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে যে মামলার রায় দেওয়া হবে সেটি কোনো মামলাই হয় না। তার আইনজীবীরা প্রতিটি অভিযোগ খণ্ডন করেছেন এবং প্রমাণ হয়েছে, এই মামলা কোনো মামলাই হতে পারে না। সম্পূর্ণ মিথ্যার ওপর এই মামলা হয়েছে। যে ট্রাস্টে খালেদা জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততাই নেই, যে ট্রাস্ট গঠনে তার কোনো মন্তব্য নেই, কোনো ডকুমেন্টে স্বাক্ষর নেই, কোনো নির্দেশনা নেই। একটা জাল ফাইল-নথি হাজির করা হয়েছে। আমাদের আইনজীবীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, এই নথিটি সম্পূর্ণভাবে জালিয়াতি করে, ঘষামাজা করে, কোনো স্বাক্ষর ছাড়াই রাষ্ট্রপতির প্যাডে সেই নথি তৈরি করা হয়েছে। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে রায়কে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হলে তা কঠোর হাতে দমনের যে কথা সরকার বলছে, তার প্রসঙ্গ তুলে সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, এই কথা বলছেন কেন? কারণ রায় তো আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। আপনারা বলছেন ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে রায় হতে যাচ্ছে।