রমজান আসার আগেই অস্থির হতে শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার

 

খাইরুজ্জামান সেতু: রমজান আসার আগেই অস্থির হয়ে উঠতে শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। ফলে রমজানে দাম নাগালের বাহিরে চলের যাওয়ার আশঙ্কা ক্রেতা সাধারণের। ভোক্তাদের অভিযোগ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করেই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ইতোমধ্যেই রমজানে ভোগ্য পণ্যর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া শুরু করা হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রমজান শুরুর আগেই প্রভাব পড়েছে বাজারে বেড়ে গেছে পেঁয়াজ, রুসুন, মসল্লাসহ ছোলা, মসুর ডাল, ডিম, মাংস ও মাছের দাম। ১০/১৫ দিন আগেও এসব পণ্যের দাম কম ছিলো কেজিতে ৮/১০ টাকা। ৩৮ টাকার দেশি পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ১২০ টাকার আদা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, ১১০টাকার রসুন বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২০/১৩০ টাকা, ৭০ টাকার ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, ১২০ টাকার মসুরের ডাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৫০টাকা পর্যন্ত, ৫০ টাকার কাঁচা ঝাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, ৩৭০/৩৮০ টাকার গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা, ২২০ টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০/৩০০ টাকা, ১৫০ টাকার ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, ২১০/২২০ টাকার সোনালি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০/২৪০ টাকা, ৩৩০ টাকার দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা, এমনকি ৩৫ টাকা হালির ডিম ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ক্রেতারা জানান, আমাদের দেশ মুসলিম দেশ, রমজানে দাম কমবে কি-না আরও বেড়ে যায়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়লেও আয় বাড়ছে না। ফলে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। আর বাজার মনিটরিঙের অভাব তো আছেই, যদি সঠিকভাবে মনিটরিং হয় তাহলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার সুযোগ থাকে? তাই ক্রেতাদের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরে রাখবে।

এদিকে দোকানিদের দাবি চাষিরা বেশি লাভের আশায় মাল আটকে রেখে কৃত্রিম সঙ্কট করে রোজার সময় বেশি দামে বিক্রি করে। আর আমরা কি আর করবো। আমরা যেমন কিনছি তেমনই বিক্রি করছি। শুধু তাই নই আমাদেরও ক্রেতাদের কাছে কৈফিয়ত দিতে হয়। দাম বেশি কেন? রীতি মতো আমাদেরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস জানান,  সামনে মাসের ৫ তারিখ বাজার মনিটরিঙের বিষয়ে সভা আছে। আর রমজানে ভোগ্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছেন ইতোমধ্যেই। তাছাড়াও বাজার মনিটরিঙের জন্য জেলা মার্কেটিং অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।