যৌন হয়রানির অভিযোগে স্বামীসহ ৩ জনের নামে মামলা : আটক ২

দামুড়হুদার কুড়ুলগাছিতে ৩ গাঁজা খোরের কাণ্ড : স্বামীর সহযোগিতায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অপচেষ্টা

দামুড়হুদা/কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় স্বামীর সহযোগিতায় গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গাঁজাখোর স্বামী রিপন তার অপর দু’বন্ধু সাইদ ও মোমিনকে নিজবাড়িতে নিয়ে গিয়ে বসতঘরে ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রীকে ধর্ষণের সহযোগিতা করে। এ ঘটনায় যৌন হয়রানির শিকার গৃহবধূ সাগরিকা খাতুন বাদী হয়ে স্বামীসহ তিনজনের নামে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী রিপন (২৮) ও সাইদকে (৩২) গ্রেফতার করেছে। মামলার অপর আসামি মোমিন (৩০) গাঢাকা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কুড়ুলগাছি বাগানপাড়ায় ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বড়বলদিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের মেয়ে সাগরিকা খাতুনের সাথে (২৫) মাস দুয়েক আগে কুড়–লগাছি বাগানপাড়ার আব্দুল কুদ্দুস ওরফে খুদের ছেলে গাঁজাখোর রিপনের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে স্বামী রিপনসহ তার অপর দু’বন্ধু একই গ্রামের হামিদের ছেলে সাইদ ও সিরাজ কল্লার ছেলে মোমিন কুড়–লগাছি বাজারের একটি দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। এ সময় সাইদ বন্ধু রিপনের কাছে গাঁজা চাইলে রিপন বলে আমি বউ দিতে রাজি। কিন্তু গাজা দিতে পারবো না। এ কথার পর সাইদ মজা করে রিপনকে তার বউয়ের কাছে নিয়ে যেতে বললে রিপন সত্যি সত্যিই সাইদকে নিজবাড়িতে নিয়ে যায়। অপর বন্ধু মোমিনও যায় তাদের সাথে। রিপন তার দু’বন্ধু সাইদ ও মোমিনকে ঘরে ঢুকিয়ে দিলে তারা গৃহবধূ সাগরিকাকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে এবং স্বামী রিপন ও সাইদকে ধরতে পারলেও পালিয়ে যায় মোমিন। গৃহবধূ সাগরিকা ওই রাতেই বাপের বাড়ি বড়বলদিয়ায় চলে যায় এবং ঘটনাটি তার পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরে যৌন হয়রানির শিকার গৃহবধূ সাগরিকা বাদী হয়ে স্বামীসহ তিনজনের নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আসাদুজ্জামান সঙ্গীয় নিয়ে রিপন ও সাইদকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেন। রিপনের স্ত্রী সাগরিকা জানান, আমার স্বামী রিপন তার দু’বন্ধু সাইদ ও মোমিনের নিকট ১ হাজার টাকা ধার নিয়ে ছিলো। পরিশোধ করতে না পারায় আমার স্বামী তাদের দুজনেক আমার ঘরে তুলে দেয়। আমি রাজি না হওয়ায় গ-গোল বাধে। এ বিষয়টি নিয়ে রিপনের সাথে কথা বললে সে জানাই, প্রকৃতপক্ষে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি শুধু আমার আর সাইদের মধ্য ঠাট্টা-মশকরার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো এর বেশি কিছু না। আমার সংসারে অভাব থাকায় আমার স্ত্রী আমার থেকে টাকা পয়সা নিয়ে অনত্র চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আকরাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় স্বামীসহ তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। পলাতক মোমিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।