যৌতুকের দাবিতে মেহেরপুরে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

মেহেরপুর অফিস: যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে পাষুণ্ড স্বামী সাইদুল ইসলাম। হাত-পা ও মুখ বেঁধে বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার স্ত্রী কাকলী খাতুন (৩৩) অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিনগত রাতে মেহেরপুর থানাপাড়ায় সাইদুল ইসলামের নিজ বাড়িতে।

আহত গৃহবধূ জানান, যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই তার ওপর নির্যাতন করতেন স্বামী। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে আবারো নির্যাতন শুরু হয়। এসময় তার হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর শুরু করেন সাইদুল। চড়-লাথি, কিল-ঘুষির পাশাপাশি লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়। তার মাথা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে প্রতিবেশীরা মুমূর্ষু অবস্থায় কাকলীকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পাষুণ্ড স্বামীর বিরদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান কাকলী।

অভিযোগে জানা গেছে, প্রায় ১৪ বছর আগে মেহেরপুর পৌরসভাধীন ২ নং ওয়ার্ড থানাপাড়ার কাওছার আলীর মেয়ে কাকলী খাতুনের সাথে একই পাড়ার মৃত দুলু শেখের ছেলে সাইদুল ইসলামের বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে। মেয়ের সুখের জন্য বিয়ের সময় জামাইকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন কাওছার আলী। প্রথম ৪-৫ বছর বেশ সুখেই কেটেছে তাদের দাম্পত্য জীবন। অভাব ঘুচাতে আবারও টাকা দাবি করেন সাইদুল। এক পর্যায়ে দুই বছর আগে সাইদুলকে আরও এক লাখ টাকা দেন কাকলীর পিতা। বাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজে টাকা শেষ হয়। ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসা দিয়ে সংসারও তেমন চলে না। তারপরে আবার জুয়ার আসারে যাওয়া-আসার বদঅভ্যাস রয়েছে সাইদুলের।

কাকলী খাতুন বলেন, সম্প্রতি জুয়ায় টাকা খুইয়ে তার মাথায় স্বাভাবিক কাজ করছিলো না। আমার পিতার বাড়ির জমির ভাগ হিসেবে টাকা দাবি করে। ওই জমি বিক্রি করে দুই লাখ টাকা দিতে আমাকে চাপ দেয়। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এর জের ধরেই গত কয়েকদিন ধরে তার ওপর নির্যাতন চলছিলো বলে অভিযোগ করেন কাকলী। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তবে অভিযুক্ত সাইদুল ইসলামের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।