যোগ্য প্রার্থীর সন্ধানে আ.লীগ-বিএনপি

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এমনটা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল। জয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে মরিয়া শাসক দল আওয়ামী লীগ। অপর দিকে, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিও আবার রাষ্ট্রক্ষমতা ফিরে পেতে মরিয়া। তাই নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে প্রার্থী বাছাইয়ে। দুই দলেই চলছে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ। প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও আরও যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীর খোঁজ করছে দুদলই। উভয় দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

আগামী নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। চূড়ান্তভাবে মাঠে নামার আগেই মনোনয়ন কাজ সেরে ফেলতে চায় দলটির হাইকমান্ড। যোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থীর খোঁজে নানা মাধ্যমের সহায়তা নেয়া হচ্ছে। একাধিক উপায়ে সংগ্রহ করা হচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তথ্য-উপাত্ত। প্রতিটি সংসদীয় আসনে তিন থেকে পাঁচজনের একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সেখান থেকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হবে। অন্যদিকে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা না দিলেও প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই তারা। নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা তৈরি করছে দলটি। মামলাসহ নানা কারণে নির্বাচনে অযোগ্য হওয়ার বিষয়টিকে সামনে রেখে তিন স্তরে প্রস্তুত করা হচ্ছে এ তালিকা। সম্ভাব্য কোনো প্রার্থীর সাজা হলে বা অন্য কোনো কারণে নির্বাচনে অযোগ্য হলে দ্বিতীয় স্তর থেকে কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে। তিনিও যদি কোনো কারণে বাদ পড়েন বিকল্প হিসেবে তৃতীয় জনকে বেছে নেয়া হবে। এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় কার্যক্রম জোরদার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আরও আগেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং গত জানুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করেছেন। দলের শীর্ষ নেতারা সাংগঠনিক সফর করছেন। একইসঙ্গে নিজের নির্বাচনী এলাকায়ও যাচ্ছেন। দলকে ঐক্যবদ্ধ ও গুছিয়ে আনার পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবেও প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, এজেন্ট প্রশিক্ষণ, প্রচার নিয়ে কাজ করছে। মনোনয়নের জন্যও আমরা এখন থেকেই খোঁজখবর রাখছি। শীর্ষ নেতারা সাংগঠনিক সফর শেষে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন। জরিপগুলো বিশ্লেষণ করা হবে। বলা যায়, একটি খসড়া মনোনয়ন তালিকা হাতে নিয়ে আমরা নির্বাচনী মাঠে নামাবো।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা বদলে বিশ্বাস করি। তবে সেই নির্বাচনে হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে। যাতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়। তিনি বলেন, আমরা সবসময় নির্বাচনের জন্য তৈরি আছি। আমাদের দলে কোনো প্রার্থী সংকট নেই। প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছে। তবে এদের মধ্য থেকে যারা যোগ্য তাদেরকেই মনোনয়ন দেয়া হবে।

আগেই মনোনয়নের কাজ সেরে রাখতে চায় আলীগ : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখতে কাজ শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে নির্বাচনী ডামাডোল শুরুর আগেই মনোনয়ন চূড়ান্তকরণের কাজ এগিয়ে চলছে। এ লক্ষ্যে একাধিক মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তথ্য-উপাত্ত । বিভাগীয় যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের রিপোর্ট, সরকারি-বেসরকারি জরিপ, কেন্দ্রীয় নেতাদের সাংগঠনিক সফরের রিপোর্টের পাশাপাশি দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব সূত্রে এ সংক্রান্ত খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, মনোনয়নের ক্ষেত্রে আসনভেদে তিন থেকে পাঁচ জন প্রার্থীর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেখা হচ্ছে দলের জন্য ত্যাগ-অবদান, নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান, নেতাকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা। তবে জনপ্রিয়তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। শাসক দলের প্রার্থীকে কার কাছে চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে সে বিষয়টিও বিবেচ্য থাকছে। সব তথ্য যোগ-বিয়োগ করে মনোনয়ন দেয়া হবে বলে সূত্রের দাবি।

মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই মনোনয়নের বিষয়টি দেখভাল করছেন। তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য এবং অন্যদের সতর্ক করছেন বারবার।

প্রতিটি নির্বাচনী আসন সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য তার কাছে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই একাধিকবার তার প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য বক্তব্যে বলেছেন, প্রতি ছয় মাস পর পর তিনি জরিপ করাচ্ছেন। কার কী অবস্থা তিনি সব জানেন। ঐ সূত্র বলে, প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়তই জরিপগুলো বিশ্লেষণ করছেন। কাকে কোথায় মনোনয়ন দেয়া হবে সেটা প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারি একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা নির্বাচনী জরিপ পরিচালনা করছে। তাদের জরিপে বর্তমান সংসদ সদস্যদের অবস্থার পাশাপাশি আগ্রহী অন্য প্রার্থীদের অবস্থাও তুলে ধরা হচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি একাধিক পেশাদার জরিপকারী সংস্থা দিয়েও জরিপ পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব জরিপে বিজয়ী হওয়ার জন্য কে এগিয়ে আছেন সে ক্রমানুসারে তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

এদিকে জানুয়ারিতে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা স্ব স্ব বিভাগের সাংগঠনিক রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। সেসব রিপোর্টে বর্তমান সংসদ সদস্যদের অবস্থা, বিকল্প প্রার্থী, সাংগঠনিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে সাংগঠনিক সম্পাদকরা আরও এক দফা হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরবেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম এবং মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ সম্প্রতি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা সাংগঠনিক সফরে প্রার্থীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন। সংগঠনকে গোছানোর পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে তুলে ধরবেন তারা। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা প্রতিটি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যদের অবস্থান পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি ঐ আসনের সার্বিক চিত্রের ওপর লক্ষ্য রাখবেন। সাংগঠনিক সফর শেষ হলে তারা দলের কাছে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি কোন আসনে কার জনপ্রিয়তা আছে এবং কে দলের মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হতে পারবেন এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মতামত দলকে জানাবেন।

বিএনপিতে প্রায় শত আসনে নতুন মুখতিন স্তরে প্রার্থী বাছাই : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। প্রকাশ্যে না হলেও গোপনীয়ভাবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করছে দলটির হাইকমান্ড। প্রতিটি আসনে সিনিয়র, মাঝারি ও তরুণ এ তিন স্তরের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। সাবেক এমপি-মন্ত্রী, আমলা, পেশাজীবী এবং তরুণ- এসব ক্যাটাগরিতে ভাগ করে তৈরি হচ্ছে সম্ভাব্য এ তালিকা। সম্ভাব্য কোনো প্রার্থীর সাজা হলে বা অন্য কোনো কারণে নির্বাচনে অযোগ্য হলে দ্বিতীয় স্তর থেকে কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে। তিনিও কোনো কারণে বাদ পড়লে বিকল্প হিসেবে তৃতীয় জনকে বেছে নেয়া হবে।

বিগত ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা মনোনয়ন পেয়েছিলেন সেই তালিকার ওপর ভিত্তির করেই এবার সম্ভাবনা তালিকা করা হচ্ছে। ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নেতাদের মধ্যে যারা অসুস্থ, নিষ্ক্রিয় ও যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিলো তারা সম্ভাব্য তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন। তাই সব মিলে শতাধিক আসনে নতুন মুখ আসতে পারে। নতুনদের তালিকায় প্রাধান্য পাবে তরুণরা। তবে তৃণমূলের মতামত ও সাধারণ ভোটারদের মনোভাব জেনে জনপ্রিয় প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে দলটি।

এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর পাশাপাশি দলের তৃণমূল নেতাদের খোঁজখবর রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। হাইকমান্ডের এমন নির্দেশ পেয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা যার যার এলাকায় বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছেন। চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে লিফলেট বিতরণসহ কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

জানতে চাইলে নেত্রকোনা-৫ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শহীদুল্লাহ ইমরান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করে আসছি। কেন্দ্রঘোষিত যেকোনো কর্মসূচি পালন করছি। সম্প্রতি দলটির হাইকমান্ড থেকে নিয়মিত এলাকায় থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রের এমন নির্দেশ পেয়ে চেয়ারপারসনের কারামুক্তির কর্মসূচি সফলভাবে পালন করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, লন্ডন সফরকালে খালেদা জিয়ার দলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং দলের জয়ের ব্যাপারে করণীয় নিয়েও আলোচনা হয়। দলের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা, জোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি এবং গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোতে কাদের মনোনয়ন দেয়া হবে সেই ব্যাপারেও তারা আলোচনা করেন। খালেদা জিয়া দেশে ফেরার পর সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নির্বাচন ও সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে আলোচনাও করেন। অনেককে তিনি মৌখিকভাবে নির্বাচনী মাঠে কাজ করতে নির্দেশও দেন।

সূত্র জানায়, বিএনপির হাইকমান্ডের আস্থাভাজন কিছু লোক দিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তাদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি একটি জরিপ সংস্থাকে এ কাজে যুক্ত করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। তারা শুধু দলের নয়, ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেবে।

নিজ দলের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা তৈরির পাশাপাশি জোটের আসন নিয়েও আলোচনা চলছে। জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। শরিকদের দলীয়ভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে সেই প্রস্তুতি শুরুও করেছেন। শুক্রবার জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির এ লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভাও করে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় কার্যক্রম জোরদার করতে বলা হয়েছে। এছাড়া জোটের কাছ থেকে সম্ভাব্য তালিকাও নিচ্ছে বিএনপি। ইতোমধ্যে এলডিপি একটি তালিকা বিএনপি মহাসচিবের কাছে হস্তান্তর করেছে।

সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫০টি আসন জোটের শরিকদের ছাড় দেয়া হতে পারে। জোটের পাশাপাশি সরকার বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে একটি বৃহত্তর নির্বাচনী ঐক্য গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা চলছে। ঐক্য হলে এসব দলকে কয়েকটি আসন ছাড় দেয়া হতে পারে।