যুবলীগ কর্মী রাজাকে কুপিয়ে জখম : ঢাকায় রেফার্ড

চুয়াডাঙ্গার শেখ জামাল স্পোর্টিং ক্লাবে অস্ত্রধারী যুবকদের হামলা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আবারও যুবলীগের কর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। একই সাথে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে শেখ জামাল স্পোটিং ক্লাবের আসবাবপত্র। দু দফা ভাঙচুর শেষে যুবলীগ কর্মী রাজাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। রাজাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। কী কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।

জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে চুয়াডাঙ্গা গমপট্টি এলাকার শেখ জামাল স্পোর্টিং ক্লাবে কে বা কারা হামলা চালায়। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর এবং ছবি ও অন্যান্য জিনিস তছনছ করা হয়। পরে গতকাল শনিবার সকালেও আরেক দফা ক্লাবে হামলা চালানো হয় বলে এলাকাবাসী জানায়। ক্লাবের সেক্রেটারি মাসুদুর রহমান মাসুম দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে জানান, ‘ফার্মপাড়ার রনি, জনি, মিন্টু, দিপু, টোটন, শফিক ও হকপাড়ার জামাল ক্লাবে হামলা চালিয়েছে। তারা বিএনপির লোক ছিলো। ইদানীং আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিঙে আসে। তারা যদি আওয়ামী লীগের পক্ষের লোক হতো তাহলে ক্লাবে থাকা প্রধানমন্ত্রীর ছবি, হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দারের ছবি এবং মেয়র টোটন জোয়ার্দ্দারের ছবি কোপাতে পারতো না।’ মাসুম আরো অভিযোগ করেন ক্লাবে থাকা একটি ২১ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন, শোকেচ ও খাটসহ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের জিনিসপত্র কুপিয়ে ও ভেঙে নষ্ট করে।

গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক পৌর কমিশনার আব্দুস সামাদের অফিসে হামলা চালায় একদল যুবক। এখানে বসে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবলীগ কর্মী চুয়াডাঙ্গা বাগানপাড়ার এমএ রানার ছেলে রাজু আহমেদ রাজা (২৪)। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাজাকে কোপানো হয়। রাজার হাতে দুটি কোপ লাগে। বাঁ হাতের দুটি আঙুল কেটে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এ সময় কয়েকজনকে মারপিট করা হয় বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। রাজাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়। দুপুরেই রাজাকে ঢাকার উদ্দেশে নেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে থাকা অবস্থায় আহত রাজা অভিযোগ করেন, ‘ফার্মপাড়ার রনি, জনি, দিপু, টোটন, সোহেল, শফিক ও হকপাড়ার জামাল আমাকে মারধর করে এবং দা দিয়ে কোপায়।’