যারা বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় : রাজনীতি দীর্ঘস্থায়ী হয় না

যুবলীগের অবৈধ কমিটি গঠন ও সন্ত্রাস-নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে যুবসমাজ ব্যানারে আয়োজিত জনসমাবেশে বক্তারা

 

DSC08504

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা যুবসমাজ ব্যানারে বিশাল মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। যুবলীগের অবৈধ কমিটি গঠন ও সন্ত্রাস-নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে আয়োজিত জনসমাবেশে বক্তারা বলেছেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক টাকার বিনিময়ে চুয়াডাঙ্গা যুবলীগের পকেট কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। অবৈধ এ কমিটি মানি না মানবো না। অবিলম্বে এ কমিটি বাতিল করে যুবলীগের প্রকৃত ত্যাগীদের নিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করতে হবে। নতুন কমিটি না হওয়া পর্যন্ত এ অবৈধ কমিটির কার্যক্রম চুয়াডাঙ্গার কোথাও চালাতে দেয়া হবে না। যেখানেই কমিটি গঠন, যেখানেই সংবর্ধনা, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

গতকাল শনিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতৃবৃন্দ যোগ দিতে থাকেন। জনসমাবেশ শেষে বিশাল মিছিল জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন ফুটবল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদের। প্রধান বক্তা ছিলেন সিরাজুল ইসলাম আসমান। বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল করিম, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ, যুবলীগ নেতা আলমগীর আজম খোকা, শামীম আহম্মেদ, মিরাজুল ইসলাম কাবা, যুবলীগ নেতা টিপু, জীবননগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক ফেরদৌসওয়ারা শামীম, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আসানুল্লাহ প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির ছত্রছায়ায় অনেকে বড় হয়েছেন। তিনি সবার রাজনৈতিক গুরু। কিন্তু কিছু মানুষ তাদের স্বার্থে অন্যের কাছে বিক্রি হয়ে যায়। যারা বিশ্বাসঘাতক তাদের রাজনীতি দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ১৯৯৮ সালে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরকে কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক বানিয়েছিলেন আমাদের হুইপ সাহেব। কিন্তু তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করে নিজেকে অনেক বড় মনে করলেন। তার মনে রাখা উচিত মীর্জা সুলতান রাজার কথা। তিনি কীভাবে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিলীন হয়েছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ নেতা নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি একটি মনগড়া কমিটি। টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ চুয়াডাঙ্গা যুবলীগের ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন যে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন তা চুয়াডাঙ্গা যুবলীগ নেতাকর্মীরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। নতুন কমিটি করার পূর্বে পুরোনো কমিটিকে কোনো তাগাদা দেয়া হয়নি। যারা চুয়াডাঙ্গা জেলায় সত্যিকার যুবলীগ নেতা তাদের নাম কমিটিতে নেই। এ অবৈধ কমিটি বাতিল করে পুনরায় নতুন কমিটি গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান হাপু। অনুষ্ঠান শেষে যুবলীগ নেতাকর্মীরা একত্রে সমবেত হয়ে আবার একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিলুয়ার হোসেন, জেলা যুবলীগের সদস্য শুকুর আলী, যুবলীগ নেতা জাবেদ মোহাম্মদ রফিজ খান, দেলোয়ার হোসেন দিপু, কামরুল ইসলাম, মহিবুল ইসলাম মন্টু, আবুল হাসনাত, টিপু টাইগার, আবু বক্কর, আবু বাকের আরিফ, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আল ইমরান শুভ, আজিজুল ইসলাম, কাজী শামসুর রহমান চঞ্চল, তহিদুল ইসলাম ফকা, জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যান রুন্নু, পিরু মোহাম্মদ, আবুল কালাম, মেহেরউল্লাহ, মাসুদুর রহমান মাছুম, চঞ্চল, রাসেল, সুইট, সৈকত, রফিকুল ইসলাম, জাহিদ হাসান, রাজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।