যশোর শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিপর্যয় হলেও রংধনূর সাফল্য

 

আকাশ সংস্কৃতি শুধু সময় নয় শিক্ষার্থীদের উৎকর্ষতাও কাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার: পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় এবার যেমন বিপর্যয় নেমেছে পাশের হারে, তেমনই জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও হতাশ করেছে। এর প্রভাব চুয়াডাঙ্গাতেও পড়েছে। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সহযোগী শিক্ষাদান কেন্দ্র হিসেবে রংধনু তার অতীত গরিমা অক্ষুণ্ণ রেখেছে। গতবারের তুলনায় ‘এ’ প্লাস ও গোল্ডেন এ প্লাসের সংখ্যা বেড়েছে।

এবার এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের ৬৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে গোল্ডেন ‘এ’ প্লাসপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫। ‘এ’ গ্রেড শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২২। গতবারের জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ২৭ জন শিক্ষার্থী। গোল্ডেন ‘এ’ প্লাস পেয়েছিলো ৮ জন। এবার বিজ্ঞান বিভাগ ছাড়াও বাণিজ্য বিভাগ থেকে অংশ নেয় ৮ জন।

যশোর শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিপর্যয় হলেও রংধনুর সাফল্যের আড়ালে কী? এ প্রশ্নের জবাবে রংধনু প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সালাম বললেন, আকাশ সংস্কৃতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সময়ই শুধু কেড়ে নিচ্ছে না, পড়াশোনায় মনোনিবেশও বিঘ্নিত হচ্ছে। মানবিক গুণাবলির উৎকর্ষতাও হ্রাস পাচ্ছে। আর মোবাইলফোন ব্যবহারসহ ফেসবুকে অবাধ বিচরণও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য চরম প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রংধনুতে এসব থেকে বিরত রেখেই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোনিবেশের সর্বাত্মক চেষ্টা চলে। এরই সুফল রংধুন পেয়েছে।

তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর অনেক অভিভাবকই ছেলে-মেয়েদের প্রতি নজরদারি কমিয়ে দেন। রংধনুর শিক্ষাথীর ক্ষেত্রে সে সুযোগ রাখা হয় না। কারণ অভিভাবকদের সাথে সব সময়ই সমন্বয় করে শিক্ষার্থীর ওপর বাড়তি নজর রাখা হয়। তাছাড়া রংধনুতে কয়েকজন অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীদের রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, বুয়েটসহ বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছুটির সময়ে রংধনুর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বিশেষ শিক্ষাদানেরও ব্যবস্থা রাখা হয়। এতেও পরীক্ষায় ভালো ফলাফলসহ ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে চরম সহায়ক হয়। এছাড়া অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর আন্তরিক শিক্ষাদানের বিষয়টি তো রয়েছেই।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে রংধনুর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সালাম (সালাম স্যার) বলেন, স্থানীয় কলেজগুলোর শিক্ষকদের পাঠদানও ভালো ফলাফলের সহায়ক। সে কারণে কলেজগুলোর শিক্ষকদের অবদানকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখার অবকাশ নেই।

যারা গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে: চুয়াডাঙ্গা সদরের গুলশানপাড়ার মোয়াজ্জেম হোসেন ও হাছিনুন্নাহারের ছেলে মুনতাসির মুনেম প্রান্ত, সিনেমাহলপাড়ার বিশ্বনাথ কর্মকার ও প্রতিমা কর্মকারের মেয়ে অদিতি কর্মকার, মুক্তিপাড়ার সাইদুর রহমান ও কামরুন্নেসা মায়ার মেয়ে সুমাইয়া রহমান, সিনেমাহলপাড়ার আতিকুর রহমান ও নাসরিন নাহারের মেয়ে আইরিন রহমান আভা, বড়বাজারপাড়ার আব্দুর রহিম ও শাহানাজ আক্তারের মেয়ে ফারহানা আফরিন লাম, ঈদগাপাড়ার সালাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার ও দিলারা পারভীনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার তিলা, সিনেমাহলপাড়ার কামরুদ্দিন ও রোকেয়া খাতুনের মেয়ে জেসমিন নাহার জুঁই, কলেজপাড়ার রুহুল আমিন ও দিলারা পারভীনের ছেলে তানভীর মুকিত, হাসপাতাল রোডের মাহবুবুর রহমান ও মাহমুদা খাতুনের মেয়ে সাদিয়া জান্নাত মিষ্টি, বেলগাছির আবু কাউছার বিশ্বাস ও শামসুন্নাহারের ছেলে সায়হাম বিশ্বাস, সিনেমাহলপাড়ার ইমাম হোসেন ও হেলেনা পারভীনের ছেলে আজিমুল ইসলাম, ফার্মপাড়ার সামসুল হক ও নারগীছ হকের মেয়ে নূরে সানজানা জান্নাত, রেলওয়ে কোয়ার্টারের হানিফ মল্লিক ও নার্গিস আরার মেয়ে রাশমিন ফারদিন সূচনা, কোর্টপাড়ার মাসুম আহমেদ ও আফসানা ফেরেদৌসীর ছেলে আতিশ-আ-রাহবার, শেখপাড়ার শাহজাহান আলী ও ছায়েদা শাহজাহানের ছেলে শাদমান সাকিব রিফাত।

যারা এ প্লাস পেয়েছে: চুয়াডাঙ্গা সদরের থানা কাউন্সিলপাড়ার ডা. তারিকুল আলমের ছেলে আহনাফ্ আদীব অর্ক, শেখপাড়ার মামুদ একরাম জোয়ার্দ্দারের মেয়ে যারীন তাসনিম মৌ, সিঅ্যান্ডবিপাড়ার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা জান্নাত কেয়া, ফার্মপাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে মাহফুজুল আলম, বুজরুক গড়গড়ির ফজলুর রহমানের মেয়ে সুমাইয়া তুল আসমা, আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সীগঞ্জ সনাতন পুরের শহিদুল ইসলামের ছেলে সানাউল্লাহ আশিক, চুয়াডাঙ্গা সদরের বেলগাছি স্কুলপাড়ার আবু তালেব জোয়ার্দ্দারের ছেলে কারিমুল জোয়ার্দ্দার, গুলশানপাড়ার ইমামুল হকের মেয়ে সুমাইয়া তাসনিম, বড়বাজারপাড়ার রুহুল আমিনের ছেলে আরিক এজাজ, কোর্টপাড়ার হাফিজুর রহমানের মেয়ে ফাতেমা তুজ জোহরা মিম, কোর্টপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে হুমায়ুন কবীর শামীম, বড়বাজারপাড়ার এমদাদুল হক মালিক ডডির ছেলে এজাজুল হক মালিক সিয়াম, গুলশানপাড়ার মফিজুর রহমানের মেয়ে তাসনিয়া হাবীবা মিমু, দক্ষিণ হাসপাতাল পাড়ার হুমায়ুন কবীরের মেয়ে শাহেরী শবনম কবীর বৃষ্টি, মাঝের পাড়ার এম এ লতিফ কামালের মেয়ে উম্মে সুলাইম মৌ, সিনেমা হলপাড়ার আনোয়ারুল ইসলামের মেয়ে তাসনিম তামান্না প্রমা, শেখপাড়ার মোহাম্মদ হায়বাত আলীর মেয়ে উম্মে সুমাইয়া লাবনী, ঝিনাইদহ কুঠি দুর্গাপুরের শুকুর আলীর ছেলে তুহিন মিয়া, দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর ঈদগাপাড়ার আনোয়ারুল হকের ছেলে সামিউল হক সজল, চুয়াডাঙ্গা সদরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার সাইদুর রহমানের মেয়ে ফারজানা আক্তার রিনথী, বড়শলুয়ার শাহাজাহান আলীর ছেলে হাসানুজ্জামান।