যশোর বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে নবম স্থানে চুয়াডাঙ্গা : মেহেরপুরেও হতাশা

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ : জিপিএ৫ ও পাসের হার দুটোই কমেছে

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার সারাদেশেই পাসের ও জিপিএ’র সংখ্যা কমেছে। চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের ফলাফলও হতাশাজনক। যশোর শিক্ষা বোর্ডে যখন পাসের হার ৮০ দশমিক শূন্য ৪ তখন চুয়াডাঙ্গায় পাশের হার ৭৩ দশমিক ২১। ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২১ পরীক্ষার্থী অপকৃতকার্য হয়েছে। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ফেল করেছে তিনজন। মেহেরপুরের এসএসসি ও সমামান পরীক্ষার ফলাফলের চিত্রও অনেকটা অভিন্ন। মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অকৃতকার্য হয়েছে ১৬ জন, আর বালিকা বিদ্যালয়ের অকৃতকার্য হয়েছে ১৪ জন।

      চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে একযোগে প্রকাশ করা হয়েছে। ১০টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে- পাসের হার ঢাকা বোর্ডে ৮৬ দশমিক ৩৯, রাজশাহী বোর্ডে ৯০ দশমিক ৭০, বরিশালে ৭৭ দশমিক ২৪, সিলেটে ৮০ দশমিক ২৬, দিনাজপুরে ৮৩ দশমিক ৯৮, যশোরে ৮০ দশমিক ০৪, চট্টগ্রামে ৮৩ দশমিক ৯৯ ও কুমিল্লায় ৫৯ দশমিক ০৩ শতাংশ।এছাড়া মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৬ দশমিক ২০ ও কারিগরি বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। বিআইএসই-এ পাসের হার ৮১ দশমিক ২১ শতাংশ। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, এই পরীক্ষায় সর্বোচ্চ গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ- জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী।

চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষা-২০১৭ এর ফলাফলে ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫০ জন ছাত্র এবং সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১ জন ছাত্রী। যশোর বোর্ডে চুয়াডাঙ্গা জেলা নবম স্থান অধিকার করেছে। পাসের গড় হার ৭৩ দশমিক ২১ ভাগ। চুয়াডাঙ্গার ১৬টি কেন্দ্রে একযোগে ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষায় ৪ হাজার ৮৩২ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ৪৬৪ জন এবং ৪ হাজার ৬৩২ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ৪৭৬ জন ছাত্রী। মোট ৯ হাজার ৪৬৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬ হাজার ৯৪০ জন এবং ফেল করেছে ২ হাজার ৫২৪ জন। এরমধ্যে ছাত্র ১ হাজার ৪০০ জন এবং ছাত্রী ১ হাজার ১৫৬ জন ফেল করেছে।

চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ২৪২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫০ জন ছাত্র, এ পেয়েছে ১৪২ জন। ফেল করেছে ২১ জন ছাত্র। চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১ জন ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১ জন ছাত্রী। এ পেয়েছে ১০১ জন ছাত্রী। ফেল করেছে ৩ জন ছাত্রী। চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হক বলেন, বিদ্যালয়ের এ ফলাফলে সন্তুষ্ট নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আগামীতে ভালো করার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে আমাদের। চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মালাকার বলেন, বিদ্যালয়ের ফলাফল আরো ভালো হলে বেশি খুশি হতাম।

গতবার চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ৬২ ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ পরীক্ষার্থী জিপিএ প্লাস পায়। এবার দুটি বিদ্যালয়েরই ফলাফল হতাশাজনক।

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এবার ১১টি বিদ্যালয় থেকে ৭৯৯ ছাত্র ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৫১৪ জন ফেল করেছে ২৮৫ জন। সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৫৩ জন জিপিএ -৫ পেয়েছে ৫ জন। ফেল করেছে ৪০। ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৪৮ জন ছাত্রী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩১ জন ফেল করেছে ১৭। আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭৫ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৬২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন ফেল করেছে ১৩ জন। কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৬ জন ফেল করেছে ২২ জন। তিয়রবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩০ জন। ফেল করেছে ৩০ জন। খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪২ জন ফেল করেছে ৫৭ জন। তিতুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে থেকে ৪১ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। ফেল করেছে ৪০ জন। গিরীশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২২ জন। ফেল করেছে ১৫ জন। ডিঙ্গেদহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪২ পাস করেছে, ফেল করেছে ২৩ জন। শ্রীকোল-বোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬৬ জন পাস মধ্যে পাস করেছে ৪৪জন জন। ফেল করেছে ২২ জন। মহাম্মদজমা ডিএএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২৪ জন পরীক্ষীর্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৮ জন ফেল করেছে ৬ জন এ কেন্দ্রের ১ম হয়েছে আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পাসের হার ৮২ দশমিক ৬৬ ভাগ। ২য় হয়েছে সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার ৭৯ দশমিক ২৭ ভাগ। ৩য় হয়েছে মহাম্মদজমা ডিএএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় পাসের হার ৭৫ ভাগ।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় একযোগে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। উপজেলার মোট ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ২ হাজার ৩৮১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৬৮২ জন। এপ্লাস পেয়েছে ৫০ জন। পাসের হার ৭১ ভাগ। এছাড়া উপজেলার ১১ মাদরাসা থেকে মোট ৪৬০ জন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৩০১ জন। এপ্লাস নেই। এসএসসিতে দর্শনা কেরু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৮ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলার মধ্যে প্রথম, দামুড়হুদা পাইলট গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১১ জন জিপিএ-৫ পেয়ে ২য় এবং দামুড়হুদা পাইলট মডেল হাইস্কুল থেকে ৭ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে ৩য় স্থান লাভ করেছে। উপজেলার ৩০ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে দামুড়হুদা পাইলট হাইস্কুল থেকে মোট ১০৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৭৯ জন। এপ্লাস পেয়েছে ৭ জন। পাসের হার ৭২ ভাগ। দামুড়হুদা পাইলট গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মোট ৮৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৭৫ জন। এপ্লাস পেয়েছে ১১ জন। পাসের হার ৮৬ ভাগ। কলাবাড়ি রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ১২৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৯৬ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৭৫ ভাগ। বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ৮৩ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৭০ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৮৪ ভাগ। কুড়ুলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ১১৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৯১ জন। এ প্লাস পেয়েছে ৪ জন। পাসের হার ৭৮ ভাগ। নাটুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ৬১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৩৪। এপ্লাস পেয়েছে দুজন। পাসের হার ৫৬ ভাগ। জয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ৯০ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৫৮ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৬৪ ভাগ। মদনা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ৮০ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৫৮। এপ্লাস পেয়েছে ১ জন। পাসের হার ৭৩ ভাগ। দলিয়ারপুর মাধ্রমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ১৯ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ১৮ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৯৫ ভাগ। কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ১২৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৮১ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৬৩ ভাগ। নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ৯৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৭৩ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৭৭ ভাগ। লোকনাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ৭২ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৪২ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৫৮ ভাগ। কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ১১২ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৬৮ জন। এপ্লাস পেয়েছে ৩ জন। পাসের হার ৬১ ভাগ। কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে মোট ৬৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে মাত্র ২৬ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৪০ ভাগ। গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ৫১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৩২ জন। এপ্লাস পেয়েছে ১ জন। পাসের হার ৬৩ ভাগ। বড়বলদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৫১ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৭৭ ভাগ। মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২২৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ১৪০। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৬২ ভাগ। দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৮৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৭২ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৮৩ ভাগ। কেরু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ১২২ জন। এপ্লাস পেয়েছে ১৮ জন। পাসের হার ৯৩ ভাগ। দক্ষিণচাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৫৫ জন। এ প্লাস নেই। পাসের হার ৬৪ ভাগ। পাটাচোরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ৮০ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৬২ জন। এপ্লাস পেয়েছে ১ জন। পাসের হার ৭৮ ভাগ। কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৪৭ জন। এপ্লাস পেয়েছে দুজন। পাসের হার ৭১ ভাগ। হোগলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৪৩ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৭৫ ভাগ। সদাবরী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৪৪ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৬৯ ভাগ। কামারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ২৩ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৮৮ ভাগ। তালসারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৩৪ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৫২ ভাগ। ঠাকুরপুর পীরপুরকুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৯ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৪৩ ভাগ। জুড়ানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৩১ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৮৯ ভাগ। আলহেরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ১৪ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৪৫ ভাগ। লক্ষ্মীপুর উম্বাত বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৩৪ জন। এপ্লাস নেই। পাসের হার ৭৬ ভাগ। দাখিলে দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদরাসা থেকে মোট ৯৯ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৭৪ জন। পাসের হার ৫৬ ভাগ। কার্পাসডাঙ্গা ফাজিল মাদরাসা থেকে মোট ৫২ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ২৯ জন। পাসের হার ৫৬ ভাগ। কুনিয়াচাদপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৪২ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ২৮ জন। পাসের হার ৬৭ ভাগ। কুড়ুলগাছি দাখিল মাদরাসা থেকে ২৯ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ১৯ জন। পাসের হার ৬৫ ভাগ। দামুড়হুদা ডিএস দাখিল মাদরাসা থেকে  ৩৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ২২ জন। পাসের হার ৫৮ ভাগ। জগন্নাথপুর বালিকা দাখিল মাদরাসা থেকে মোট ২৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ১১ জন। পাসের হার ৪৪ ভাগ। বুইচিতলা বড়বলদিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৪৩ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৩৩ জন। পাসের হার ৭৭ ভাগ। জয়রামপুর দাখিল মাদরাসা থেকে মোট ৪৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৩১ জন। পাসের হার ৬৫ ভাগ। কার্পাসডাঙ্গা হাদিকাতুল বালিকা মাদরাসা মোট ৩৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ১৭ জন। পাসের হার ৪৫ ভাগ। বাস্তুপুর দাখিল মাদরাসা থেকে ৩৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ২৭ জন। পাসের হার ৭৭ ভাগ। গোপালপুর দাখিল মাদরাসা থেকে ১১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ১০ জন। পাসের হার ৯১ ভাগ।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে এসএসসিতে পাসের হার ৬৭ দশমিক ৫৫ ভাগ। দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯১ ভাগ। এসএসসি পরীক্ষায় ২৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। অনলাইনের অসুবিধার কারণে পাওয়া যায়নি কারিগরি পরীক্ষার ফলাফল। এসএসসিতে এবার ৮টি জিপিএ-৫ পেয়ে ফলাফলের দিক থেকে উপজেলার শীর্ষে অবস্থান করছে জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। দাখিলে হাসাদাহ মডেল ফাজিল মাদরাসা ফলাফলের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, এসএসসিতে জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১১৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৮৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন। জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১০৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৬৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩৮ জন। উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৭৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৬ জন। আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫৮ জন। আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৫০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৮ জন। ধোপাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫৩ জন। গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫৩ জন। বিসিকেএমপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। করতোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৭ জন। মিনাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৩ জন। কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭৫ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪৯ জন। হাসাদাহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৭ জন। শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১১৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৭৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। শাহাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩৯ জন। হাজি মনির হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১২ জন। আলীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৮ জন। সিংনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৬ জন। পাঁকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৭ জন ও কাশেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪৫ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩৭ জন।

দাখিল পরীক্ষায় জীবননগর উপজেলা আলিম মাদরাসা থেকে ৪২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩৫ জন। হাসাদাহ মডেল ফাজিল মাদরাসা থেকে ৪৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪৩ জন। মাধবপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ১৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৫ জন। জান্নাতুল খাদরা দাখিল মাদরাসা থেকে ৩৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩৫ জন। নিধিকুণ্ডু-বাড়ান্দি দাখিল মাদরাসা থেকে ৩৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩৩ জন। পাঁকা দারুস সালাম দাখিল মাদরাসা থেকে ২৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে মাত্র ২৫ জন ও আন্দুলবাড়িয়া আশরাফিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৩০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২০ জন।

ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা জানিয়েছেন, কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১২০ জন পরীক্ষাথীর মধ্যে পাস করেছে ৬৮ জন। এ প্লাস পেয়েছে ৩ জন। কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৬৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ২৬ জন। কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১২৬ জনের মধ্যে পাস করেছে ৯১ জন। ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের২১ জনের মধ্যে পাস করেছে ৯ জন। তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪৪ জন। সদাবরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬৪ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪৪ জন। পীরপুরকুল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪১ জনের মধ্যে পাস করেছে ২৬ জন। কুড়ুলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১১৬ জনের মধ্যে পাস করেছে ৯১ জন। এ প্লাস পেয়েছে ৪ জন। কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬৬ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪৭ জন। এ প্লাস পেয়েছে ২ জন। নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬১ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩৪ জন। এ প্লাস পেয়েছে ২ জন।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, সারা দেশের ন্যায় একযোগে যশোর বোর্ডের অধীনে মেহেরপুরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১ জন। এবছর অন্যান্য বছরের চেয়ে ফেলের সংখ্যা বেশি। তবে মেহেরপুর জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে শতভাগ এসএসসি পাস করেছে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।

নিচে উল্লেখ যোগ্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল উল্লেখ করা হলো- এ বছর মেহেরপুর জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৫২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৫ জন জিপিএ-৫সহ শতভাগ পাস করেছে। মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২১৭ জন অংশ নিয়ে ২০১ জন কৃতকার্য হয়েছে। যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন। মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪২ জন অংশ নিয়ে ২২৮ জন কৃতকার্য হয়েছে। যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন। মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৫৭ জন অংশ নিয়ে ১৪৩ জন কৃতকার্য হয়েছে।  যাদের মধ্যে একজন জিপিএ-৫ রয়েছে। চাঁদবিল সিএমসি মাধ্যমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৪ জন অংশ নিয়ে একজন জিপিএ-৫সহ ৪৬ জন কৃতকার্য হয়েছে।

এছাড়া যাদুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১০৮ জন অংশ নিয়ে একশ’ জন কৃতকার্য হয়েছে। গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩৮ জন অংশ নিয়ে ৩৩ জন কৃতকার্য হয়েছে। কামদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬২ জন অংশ নিয়ে ৫০ জন কৃতকার্য হয়েছে। ভৈরব নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৬ জন অংশ নিয়ে ১৩ জন কৃতকার্য হয়েছে। আরআর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫০ জন অংশ নিয়ে ৪১ জন কৃতকার্য হয়েছে। আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১০৭ জন অংশ নিয়ে ৮১ জন কৃতকার্য হয়েছে। আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৮২ জন অংশ নিয়ে ৬৬ জন কৃতকার্য হয়েছে। মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৬২ জন অংশ নিয়ে ৪৭ জন কৃতকার্য হয়েছে। কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল থেকে ৩৯ থেকে ২৭ জন কৃতকার্য হয়েছে। মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৪৮ জন অংশ নিয়ে ৪০ জন কৃতকার্য হয়েছে। হাতিভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪০ জন অংশ নিয়ে৩৬ জন কৃতকার্য হয়েছে। বলিয়ারপুর মাধ্যমিক বিদালয় থেকে ৭৭ জন অংশ নিয়ে ৫৪ জন কৃতকার্য হয়েছে।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর গাংনী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার গত বছরের চেয়ে কিছুটা কমেছে। একই সাথে কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৬ জন। গত বছরের পরীক্ষায় এর সংখ্যা ছিলো ৯৩ জন। জেটিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৪ জন ও হাড়িয়াদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২২ জন পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাস করেছে। সর্বন্মি পাসের হার গাড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ৭৫ জনে পাস করছে ৩৮ জন। পাসের হার ৫০ দশমিক ৬৬ ভাগ।

গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে ৩০২ জনে পাস করেছে ২৫৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ জন। পাসের হার ৮৫ দশমিক ৭৬। সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৯৯ জনে ৯১ জন পাস, ২২ জন জিপিএ-৫ এবং পাসের হার ৯১ দশমিক ৯১। গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৪৮ জনে ৩১ জন পাস, জিপিএ-৫ নেই, পাসের হার ৬৪ দশমিক ৫৮। ভাটপাড়া (কষবা) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬০ জনে ৫৬ জন পাস, ৫ জন জিপিএ-৫ এবং পাসের হার ৯৩ দশমিক ৩৩। রাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৮ জনে ২৮ জন পাস করেছে। পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৮। ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৬ জনে ৪৯ পাস করেছে। পাসের হার ৮৭দশমিক ৫ ভাগ। জোড়পুকুরিয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৭ জনে ৫৪ জন পাস, ৩ জন জিপিএ-৫ এবং পাসের হার ৮০ দশমিক ৫৯। এইচবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪০ জনে ৩৮ জন পাস করেছে। পাসের হার শতকরা ৯৫ ভাগ। বামন্দী-নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৮৫ জনে ৭৮ জন পাস, ২ জন জিপিএ-৫ এবং পাসের হার ৯১ দশমিক ৭৬। জোতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৩ জনে ১৬ জন পাস, পাসের হার ৪৮ দশমিক ৪৮। হিজলবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৯ জনে ৩৩ জন পাস, পাসের হার ৫৫ দশমিক ৯৩। গাংনী পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৪ জনে ৪৬ জন পাস, পাসের হার ৮৫ দশমিক ১৮। বাঁশবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৪ জনে ৪২ জন পাস, পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ ভাগ।

ভাটপাড়া (কুঠি) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৩ জনে ২৬ জন পাস, পাসের হার ৪১ দশমিক ২৬। লুৎফন্নেচ্ছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৯ জনে ৩৯ জন পাস, পাসের হার ৭৯ দশমিক ৫৯ ভাগ। কুতুবপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৮৬ জনে পাস করেছে ৭০ জন, ৬ জন জিপিএ-৫ এবং পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৯ ভাগ। করমদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৬ জনে পাস করেছে ৫৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, পাসের হার ৮১ দশমিক ৮১ ভাগ। বিটিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৫ জনে ৮ জন পাস এবং পাসের হার ৫৩ দশমিক ৩৩। আরবিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৪ জনে ৪৩ জন পাস, পাসের হার ৮৫ দশমিক ১০। আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০ জনে ১৪ জন পাস, ১ জন জিপিএ-৫, পাসের হার ৭০। বাওট আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ে ১৩ জনে ৮ জন পাস, পাসের হার ৬১ দশমিক ৫৩ ভাগ। বাদিয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৬ জনে ৩০ জন পাস, পাসের হার ৮৩ দশমিক ৩৩। হাজি ভরস উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৬ জনে পাস করেছে ৪০ জন, পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৫ ভাগ। দাখিল পাস পরীক্ষায় গাংনী সিদ্দিকীয়া সিনিয়র (আলিম) মাদরাসায় ৩৬ জনে ২৯ পাস করেছে। পাসের হার ৮০ দশমিক ৫৫। হাড়াভাঙ্গা ডিএইচ ফাজিল মাদ্রাসায় ৩৮ জনে ৩৩ জন পাস, পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮৪ ভাগ।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এসএসসি পরীক্ষায় মুজিবনগর উপজেলায় ১৬টি বিদ্যালয়ে ১৬ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে, এ গ্রেড ২২৭ জন, এ- ১৯৫ জন, বি ২৩০ জন, সি ৯৭ জন। মোট পাস করেছে ৭৬৫ জন। মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ১০১৭ জন।

মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৮২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন।  বাগোয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১১৮ জনের মধ্যে পাস করেছে ৮৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। দারিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪০ জনের পাস করেছে ৩৩ জন। দারিয়াপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৬৬ জনের মধ্যে পাস করেছে ৬১ জন। কোমরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯৭ জনের মধ্যে পাস করেছে ৬৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।  মহাজনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০২ জনের মধ্যে পাস করেছে ৭৯ জন। আনন্দবাস এমএম একাডেমী ৫৪ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪৬ জন। জয়পুর তারানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৭ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিবপুর ৯৯ জনের মধ্যে পাস করেছে ৭৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। মুজিবনগর আম্রকানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮১ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪৬ জন। মোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫২ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩৯ জন। আনন্দবাস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ১২ জনের মধ্যে পাস করেছে ১০ জন।  গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৩৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩১ জন। নাটুদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬১ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। এটিজে আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ১২ জনের মধ্যে পাস করেছে ৬ জন। বল্লভপুর মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ২০ জন।

      ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এসএসসি পরীক্ষায় এবারও ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীন এ কলেজ থেকে ৫২ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তারা সবাই বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।

ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল সাদিকুল বারী জানান, ছাত্রদের অক্লান্ত পরিশ্রম, অভিভাবকদের আন্তরিকতা ও শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আরো ভালো করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

শিক্ষার্থীরা হলো: ফারহান, তালাল, সামনান, তুরাগ, তাজওয়ার, জাবেদ, রিফাত, হোসেন, আশিক, রায়াত, সৌমিক, আসিফ, সামিন, মারুফ, আহনাফ, রাকিব, হাসান, সিফাত, সালমান, তরিকুল, নাঈম, রাগীব, আসাদ, মুকিত, সরোয়ার, ওয়াহিদুর, সাকিব, আবরার, মেহদী, ফাইয়াজ, তানিম, ফাহিম, মাহমুদ, যুবায়ের, উরফাত, হাসিব, সাজ্জাদ, ইমতিয়াজ, রাহাত, মইনুল, তামিম, আরাফাত, মেহরাব, তালুকদার, মনজুর, মুনতাসির, জামান, হৃদয়, তাহফিম, জামাল, জুনায়েদ ও মৃদুল।