যশোর-চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত : প্রাণিকূল ওষ্ঠাগত

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। বাতাসে আগুনের ঝলকানি। অনাবৃষ্টিতে ভ্যাপসা গরমে প্রাণিকূল ওষ্ঠাগত। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪১ দশমিক ৭ এবং সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদফতরপূর্বাভাসে জানিয়েছে, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি পশ্চিমা লঘুচাপ অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।ঈশ্বরদী, সৈয়দপুর, খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ঢাকা, বরিশাল বিভাগসহ চাঁদপুর ও মাইজদীকোর্ট এবং রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে তাপমাত্রা বাড়ছেই। প্রচণ্ড দাবদাহ, আগুনের মতো উত্তপ্ত বাতাস আর ভ্যাপসা গরমে কাহিল হয়ে পড়েছে জনজীবন। ফ্যানের বাতাসেও স্বস্তি মিলছে না। ঘরে-বাইরে সর্বত্র অসহনীয় অবস্থা। গত ১ মাস থেকে বৃষ্টির দেখা নেই। এমন দাবদাহ অতীতে আর কখনো দেখেনি উপজেলাবাসী। যেন আগুনের ফুলকির ন্যায় তাপপ্রবাহের কারণে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এছাড়া দাবদাহের কারণে পুড়ছে ফসলের মাঠ। আগুনের মতো উত্তপ্ত বাতাস আর ভ্যাপসা গরমের তীব্রতা ও রোদের প্রখরতায় মাঠে, পথে-ঘাটে মানুষের দরদর করে ঘামতে দেখা যাচ্ছে। তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়ছে অনেকেই। দৈনন্দিন কাজকর্মে নেমে এসেছে স্থবিরতা। ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এবং ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুপাখিও কাবু হয়ে পড়ছে। গরমের কারণে রোদের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে শহরের রাস্তা-ঘাট একেবারে জনশূন্য হয়ে পড়ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে যাচ্ছে না।