যশোরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গুলি করে খুন

স্টাফ রিপোর্টার: যশোর শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল মান্নানকে (৫০) গুলি করে ওগলা কেটে খুন করা হয়েছে। শহরের বেজপাড়া পিয়ারি মোহন সড়কের রানার পত্রিকাকার্যালয়ের সামনে গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় এ ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী দুর্বৃত্তদের ধাওয়া দিলে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

এদিকে, খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে সন্ধ্যায় যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেলহাসপাতাল চত্বর থেকে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ সংগঠনেরনেতা-কর্মীরা শহরে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। শহর ঘুরে মিছিলটি দড়াটানায়গিয়ে শেষ হয়।শহরের বেজপাড়া এলাকার পিয়ারিমোহন, টিবি ক্লিনিক ওমাহফুজ সড়কের মাদক ব্যবসা, সেবন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধেশান্তি-শৃঙ্খলা কমিটি নামে একটি কার্যকরী কমিটি রয়েছে। ওই কমিটির সভাপতিছিলেন আবদুল মান্নান।

কমিটির সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির যশোর জেলা কমিটির নেতাজিল্লুর রহমান বলেন, ‘আবদুল মান্নানের সক্রিয় ভূমিকার কারণেচার-পাঁচ বছর ধরে এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাস মাথাচাড়া দিতে পারেনি। তার এভূমিকার কারণে বিভিন্ন সময়ে যাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে, তারাই এহত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আমরা মনে করি।’ পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য মতে, বিকেলে মান্নান পিয়ারিমোহন সড়কেনিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অফিসে গিয়ে বসেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে করেদু-তিন যুবক আকস্মিকভাবে সেখানে গিয়ে প্রথমে মান্নানের বুকে গুলি করে।পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার শ্বাসনালি কেটে বেরিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজনদেখে তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের যশোর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকতসলিম-উর-রহমান ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, গুলির মতো শব্দ শুনেমান্নান ভাইয়ের অফিসের দিকে এগিয়ে যাই। এ সময় দেখি তিনজন বেরিয়ে যাচ্ছে।তাদের মধ্যে গেঞ্জি পরা এক যুবকের কোমরে পিস্তল দেখে চিত্কার দিয়ে তাদেরধাওয়া করি। সাথে কয়েকজন যোগ দেয়। এ সময় তারা দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েআতঙ্ক সৃষ্টি করে। বোমার ধোঁয়ার মধ্যে তাদের আমরা হারিয়ে ফেলি। এরপর তিনটিমোটরসাইকেল নিয়ে পাড়ার অলিগলিতে তাদের খোঁজা হয়। কিন্তু পাওয়া যায়নি।