যশোরে গাড়ি ছিনতাই মামলার তদন্ত সম্পন্ন : দু কনস্টেবলসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

স্টাফ রিপোর্টার: যশোর বাঘারপাড়ায় প্রাইভেটকার (ঢাকা-মেট্রো-গ-১৩-৯৫৪০) ছিনতাই মামলায় এনএসআই সদস্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল খায়ের মোল্লা আদালতে চার্জশিটটি দাখিল করেন। গত ২ সেপ্টেম্বর এ ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, ঘটনার সাথে সাতজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনজনের পরিচয় সঠিকভাবে না পাওয়ায় চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। জড়িত অপর তিনজনকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে না। তাদের নাম-ঠিকানা উদঘাটন সম্ভব হলে পরে সম্পূরক চার্জশিট দেয়া হবে।
অভিযুক্তরা হলেন- যশোরের ঝিকরগাছা থানার পুলিশ কনস্টেবল (নম্বর-৫০৬) শেখ মিজানুর রহমান, পাবনার সুজানগর থানার কনস্টেবল (নম্বর-৬৯৪) মোল্লা মো. রুবায়েত, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) সাতক্ষীরা কার্যালয়ের ওয়াচার লিপ্টন মিয়া ও যশোরের অভয়নগর উপজেলার শঙ্করপাশা গ্রামের মেছের আলী মল্লিকের ছেলে মোমিনউদ্দিন।
জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর বাঘারপাড়ার ভিটাবল্লা ক্যাম্পের পুলিশ ছিনতাই করা একটি প্রাইভেটকারসহ মিজানুর রহমান নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করেন। সে সময় তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারের মালিক খুলনা কাস্টমস ঘাট এলাকার তৌহিদুর রহমান পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের নামে যশোরের বাঘারপাড়া থানায় মামলা করা হয়।
পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে বাঘারপাড়া থানা হেফাজত থেকে পালিয়ে যান কনস্টেবল মিজান। তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগে ওই দিন বিকেলে থানার ওসি কাইয়ুম আলী সরদার, একজন এএসআই ও এক কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ৫ সেপ্টেম্বর রাতে বাঘারপাড়া থানায় জব্দ গাড়িটি তল্লাশি করে ১১০ পিস সোনার বার উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ছিনতাই মামলার বাদী তৌহিদুর রহমানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়।
পুলিশি গাড়ি ছিনতাই ও সোনা উদ্ধার মামলা দুটি ৬ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশে পাঠানো হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয় এসআই আবুল খায়ের মোল্লাকে। এরপর তিনি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রাইভেটকার ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভয়নগরের শঙ্করপাশা গ্রাম থেকে মোমিনকে আটক করেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে সোপর্দ করলে মোমিনউদ্দিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।