ময়নাতদন্ত শেষে আশরাফ উদ্দীনের লাশ নিয়ে মিছিল : ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেন হুইপ

যুবদল নেতা ইকরাসহ ৩৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের : বাদীর জিম্মায় মুক্ত দুজন
স্টাফ রিপোর্টার: ইকরামুল হক ইকরাসহ ৩৮ জনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অবর্ণনীয় নৃশংসতার শিকার আশরাফ উদ্দীনের ভাই শাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে গতকাল রোববার এ মামলা দায়ের করেন। পরশু সন্ধ্যায় গাড়াবাড়িয়া গ্রাম থেকে থানায় নেয়া দুজনকে গতকাল মামলার বাদীর জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত শেষে নিকটজনসহ গ্রামের সাধারণ মানুষ লাশ নিয়ে জেলা শহরে মিছিল করে খুনি ইকরাসহ তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। গতকালই বাদ আছর গ্রাম সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।
নামাজে জানাজায় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য হুইপ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনসহ অসংখ্য মানুষ শরিক হন। এর আগে নিহত আশরাফ উদ্দীনের মৃতদেহ শেষবারের মতো দেখার সময় উপস্থিত জনতার সামনে হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপি নৃশংস এ খুনের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, খুনি যেই হোক, যারাই হোক তাদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য যা করার তাই করা হবে। অপরদিকে মামলা গ্রহণের পর গতরাতে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, হত্যাকা-ের পর থেকেই খুনি ইকরামুলসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে নানামুখি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের মৃত আতর আলী ম-লীর ছেলে আশরাফ উদ্দিনকে (৫০) গতপরশু শনিবার দুপুরে গ্রামেরই রাস্তা থেকে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে গ্রামেরই প্রতিপক্ষরা নির্মম নির্যাতন করে। পিটিয়ে কুপিয়ে ও মাথায় শাবল গেঁথে খুনের পর সটকে পড়ে। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়। নিহত আশরাফ উদ্দীনের মৃতদেহ পরশু বিকেলে পুলিশ উদ্ধার করে। গতকাল রোববার দুপুরে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীসহ নিকটজনেরা খুনের সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে লাশ নিয়ে মিছিল বের করে। শহীদ হাসান চত্বর হয়ে কবরি রোডে পৌঁছুয়। পরে মৃতদেহ নেয়া হয় নিজ গ্রামে। ঘটনার পর থেকেই গ্রামে নেমে এসেছে শুনশান নিরবতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আসামিদের বাড়ি জনশূন্য। গতকাল সদর থানায় গ্রামেরই মৃত মকছেদ আলীর ছেলে ইকরামুল হক ইকরাকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত আশরাফ উদ্দীনের ভাই বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। পরশু সন্ধ্যায় গ্রামেরই ইদুর দু’ছেলে শরিফ ও আলাকে পুলিশ থানায় নেয়। এদের বিরুদ্ধে মামলার বাদীর কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশ বাদীর জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে। তবে গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মামলার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে অভিযানের প্রস্তুতি চলছিলো।